বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভুয়া ওয়েবসাইট ও সিপি জালিয়াতি: আমদানিকারক ও এজেন্টের বিরুদ্ধে মামলা
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি এবং ক্লিয়ারেন্স পারমিট (সিপি) জালিয়াতির ঘটনায় আমদানিকারক সিয়াম এন্টারপ্রাইজ এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খান এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।
বৃহস্পতিবার বন্দর থানায় বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সুজয় দেবনাথ। শুক্রবার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, জালিয়াতির ঘটনায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার সিয়াম এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. জলিল এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খান এন্টারপ্রাইজের মালিক গোলাম মাওলা খান বাবুলকে আসামহ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২২ (২) ও ২৩ (২) এবং দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় মামলাটি দায়ের হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সুত্র জানায়, ঢাকার চকবাজারের ৬৬ মৌলভীবাজার ঠিকানার মেসার্স সিয়াম এন্টারপ্রাইজ মালয়েশিয়া থেকে ১৩ হাজার ৫২০ কেজি জলপাই ও চীনা বাদাম আমদানির ঘোষণা দিয়ে নিয়ে আসে নেসলে কোম্পানির ২১ হাজার ৬০ কেজি শিশুখাদ্য লেকটোজেন। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে চালানটি খালাস নিতে চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খান এন্টারপ্রাইজ গত ২৩ এপ্রিল চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। চালানটিতে ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য থাকার তথ্য থাকায় কাস্টমস কর্মকর্তারা চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে কায়িক পরীক্ষার পর জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে।
চালানটিতে মিথ্যা ঘোষণা প্রমাণিত ও আমদানি নীতি আদেশের শর্ত প্রতিপালিত না হওয়ায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম আমদানিকারককে ৭৬ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এর পাশাপাশি বাণিজ্য মন্ত্রনালয় অথবা আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের কিয়ারেন্স পারমিট (সিপি) দাখিল সাপেক্ষে পণ্য চালানটি খালাসের আদেশ দেন।
এরপর আমদানিকারক সিয়াম এন্টারপ্রাইজ গত ১০ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সিপি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে দাখিল করে। পরবর্তীকালে গত ১৩ অক্টোবর সিপি বিষয়ক বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের আরেকটি চিঠি দাখিল করে আমদানিকারক। উভয় চিঠিতে বিএসটিআই-এর ছাড়পত্র কাস্টম কমিশনারের বিচারাদেশ অনুযায়ী শুল্ক কর ও জরিমানা প্রদান সাপেক্ষে পণ্য চালানটি খালাসের জন্য বলা হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের শুল্কায়ন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে সিপিতে স্বাক্ষরকারী বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের উপসচিবের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হন, কাস্টম হাউসে দাখিলকৃত সিপি ভুয়া।