হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ ইসরায়েলের, বাড়ি ফিরতে পারছেন না হাজারো ফিলিস্তিনি
হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার ফিলিস্তিনির বাড়ি ফেরা আটকে রেখেছে ইসরায়েল। প্রধান একটি সড়ক বন্ধ করে দেওয়ায় গাজা উপত্যকার উত্তরে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিরা বাড়ি ফিরে যেতে পারছেন না। খবর বিবিসির।
গতকাল গাজায় জিম্মি থাকা ৪ ইসরায়েলি নারী সেনা সদস্যের মুক্তি এবং এর বিনিময়ে ২০০ ফিলিস্তিনি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার পর থেকেই শুরু হয় বিপত্তি।
বেসামরিক জিম্মি আরবেল ইয়েহুদকে মুক্তি না দেওয়ায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে ইসরায়েল।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েল বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের গাজার উত্তরাঞ্চলে ফিরতে এখনো অনুমতি না দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
যদিও হামাস জোর দিয়ে বলছে, আরবেল ইয়েহুদ বেঁচে আছেন এবং আগামী সপ্তাহে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, বন্দী সেনাদের আগে বেসামরিক নাগরিকদের মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল হামাসের।
এদিকে, শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার জন্য মধ্য গাজার আল-রশিদ সড়কে ফিলিস্তিনিদের ভিড় জমতে থাকলে, সেখানে গুলি চালানো হয় বলে জানা গেছে।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং ফিলিস্তিনি মিডিয়া জানিয়েছে, এ সময় একজন নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন।
অনলাইনে পোস্ট করা এই ঘটনার এক ভিডিওতে ৪টি গুলির শব্দ শোনা যায়। বিবিসি ভেরিফাই ফুটেজটির অবস্থান নিশ্চিত করতে পারলেও, হতাহতের বিষয়টি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
এদিকে, ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)-এর দাবি, 'বাহিনীর জন্য হুমকিস্বরূপ, এমন কয়েকজন সন্দেহভাজন লোককে' উদ্দেশ্য করে মধ্য গাজায় গুলি চালানো হয়েছে।
আইডিএফ আরও দাবি করেছে, সম্প্রতি সময়ে গুলি চালানো হয়েছে 'নিরাপদ দূরত্ব' যেনো বজায় রাখা হয় সেজন্য; কারও ক্ষতি করার জন্য গুলি চালানো হয়নি। এমনকি, গুলিতে সন্দেহভাজনদের হতাহতের বিষয়টিও নাকচ করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এদিকে, গাজার উত্তরের বাসিন্দারা যেন তাদের বাড়ি ফিরে যেতে পারেন, সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীরা।
কিন্তু যেই রাস্তা দিয়ে হেঁটে ফিলিস্তিনিরা বাড়ি ফিরবেন, সেখানে ট্যাঙ্ক রেখে রাস্তা আটকে দিয়েছে ইসরায়েল।
মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে হামাসের কাছ থেকে আরবেল ইয়েহুদের বেঁচে থাকার প্রমাণ চেয়েছে ইসরায়েল। ধারণা করা হচ্ছে, মিশরের কাছে হামাস এর প্রমাণ দিয়েছে।