তুরাগ তীরে শুরু ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা
কড়া নিরাপত্তায় গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর তুরাগ নদের (টঙ্গী নদী) তীরে আজ বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব আম বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। তাবলীগ জামাতের শুরায়ে নেজামের (জুবায়ের) অনুসারী তাবলিগের সাথীরা এবারের ইজতেমার প্রথম পর্ব আয়োজন করছেন।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবারের ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরায়ী নেজামের অধীনে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্বের প্রথম ধাপ ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়ে ২ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে ৩ ফেব্রুয়ারি। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
এরপরে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে। দ্বিতীয় পর্ব আয়োজন করবেন তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বি ভারতের মাওলানা সাদ অনুসারী সাথীরা। তবে, সাদ অনুসারীদের ইজতেমা আয়োজনে সরকারের দেওয়া একটি শর্ত মানা নিয়ে উভয় পক্ষে ভিন্ন মত রয়েছে।
প্রথম পর্বের প্রথম ধাপের বিশ্ব ইজতেমায় অংশ গ্রহণের জন্য মুসল্লিরা বাস, ট্রাক, কার, পিকআপ ট্রেনসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে দলে দলে এরই মধ্যে ময়দানে আসতে শুরু করেছেন।
বিশ্ব ইজতেমার মুসুল্লীদের সেবার জন্য সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে তাবলিগের মুরুব্বীগণ, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ৮ হাজারের অধিক সদস্য নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা।
তাবলীগ জামাতের শুরায়ী নেজাম মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, আজ বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হবে এবারের ৫৮ তম টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। শুক্রবার বাদ ফজর বয়ান করবেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়া উল হক।
তাবলীগ জামাতের শুরায়ী নেজাম মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান আরো জানান, আগামীকাল শুক্রবার ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে দেশের সর্ববৃহৎ জুম্মার নামাজের জামাত। জুমার নামাজে ইমামতি করবেন শুরায়ে নেজামের শীর্ষ মুরুব্বি ও কাকরাইল মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা জুবায়ের।
এদিকে, গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করীম খান জানান, ইজতেমা ময়দানকে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তায় রাখতে সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে গাজীপুর মহানগর পুলিশ। ইজতেমার নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকছে প্রায় সাড়ে সাত হাজার পুলিশ ও র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। এছাড়াও প্রায় ১০ হাজার তাবলীগ জামাতের স্বেচ্ছাসেবী ময়দানে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসো আরেফিন জানান, বিদেশি মেহমানদের আবাসস্থল নির্মাণের জন্য টিন সরবরাহ, বিভিন্ন দফতরের কন্ট্রোল রুমের স্থান নির্ধারণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকার পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা বিভাগীয় প্রশাসনের দিক নির্দেশনায় বিভিন্ন কার্যাদি তদারকি করা হচ্ছে। সর্বোপরি বিশ্ব ইজতেমার সকল দিক জেলা প্রশাসন পর্যবেক্ষণ করছে।