শিক্ষার্থীদের জন্য কমিউনিটি পরিষেবা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব টাস্কফোর্সের
শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক দায়বদ্ধতা ও দলগত কর্মকাণ্ডের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধির জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বাধ্যতামূলক কমিউনিটি সার্ভিস চালুর সুপারিশ করেছে টাস্কফোর্স।
'অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্গঠন এবং সমতা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য সম্পদ সংগ্রহ' শীর্ষক টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করা হয়।
শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।
উন্নয়ন কৌশল পুনর্গঠন, আর্থিক ব্যবস্থায় ফাঁকফোকর খুঁজে বের করা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের জন্য গত ১০ সেপ্টেম্বর ১২ সদস্যের এ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছিল।
প্রতিবেদনে জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলোতে সবার অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকারের সাথে অংশীদারিত্বে এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।
এ পরিকল্পনার আওতায় শিক্ষার্থীরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, স্বাক্ষরতা অভিযান ও সামাজিক উন্নয়নমূলক উদ্যোগগুলোতে অংশগ্রহণ করবে। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।
প্রতিবেদনে জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে স্বেচ্ছাসেবার বাইরেও কমিউনিটি পরিষেবা কর্মসূচি হতে পারে এবং শিক্ষা কাঠামোর ভেতরে নাগরিক সম্পৃক্ততা একীভূত করতে হবে। এসব কর্মসূচিতে স্থানীয় সরকারের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রকৃত চাহিদার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা যেতে পারে, যা তরুণদের মধ্যে কর্তব্যবোধ ও একজন সুনাগরিকের গুণাবলি অর্জনে সহায়ক হতে পারে।
টাস্কফোর্সের অন্যান্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে সচেতনতামূলক প্রচারণা, যুব পরিষদ ও ফোরাম, পরামর্শ প্রদান বিষয়ক কর্মসূচি ইত্যাদি।
এসব উদ্যোগের পাশাপাশি টাস্কফোর্স তরুণদের ক্ষমতায়নের জন্য একটি বিস্তৃত নীতি কাঠামোরও সুপারিশ করেছে। এছাড়াও বাজারের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের দক্ষতাবৃদ্ধি বিষয়ক কর্মসূচির কথাও সুপারিশ করা হয়েছে।