‘ঢালু, কাদামাটি, পিচ্ছিল’: উপদেষ্টাদের লাল গালিচায় খাল খনন উদ্বোধনের যে ব্যাখ্যা দিলো ডিএনসিসি
মিরপুরের বাউনিয়া খালের সংস্কার কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে লাল গালিচা ব্যবহারের কারণ জানালো ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। তারা জানায়, অতিথিদের নিরাপত্তার স্বার্থেই সেখানে লাল কার্পেট ব্যবহার করা হয়েছে।
আজ রোববার মিরপুরের বাউনিয়া খাল সংস্কার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ আরো দুজন উপদেষ্টা ও বেশ কয়েকজন অতিথিরা। তারা সংস্কার কাজ উদ্বোধনের জন্য খাল খননের জন্য রাখা এক্সকেভেটরে উঠেন।
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের লাল কার্পেটের উপর দাঁড়ানোর বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেন অনেকেই।
এ বিষয়ে ডিএনসিসি-এর দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেখানে ভাসমান এক্সকেভেটর রাখা হয়েছে তা কোনো স্থায়ী পন্টুনে স্থাপিত নয়। বরং এটিকে অস্থায়ী ভাবে রাখা হয়েছে। এছাড়া এক্সকেভেটরে উঠার রাস্তাটি অনেক ঢালু ও কাদা মাটির হওয়ায় এবং এক্সকাভেটরের ফ্লোর পিচ্ছিল থাকায় অতিথিদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করার জন্য এবং চলাচল এলাকা দৃশ্যমান রাখতেই লাল রঙের কার্পেট সদৃশ ম্যাট ব্যবহার করা হয়েছে।
সেখানে আরও বলা হয়, এটি কোনো আনুষ্ঠানিক লাল গালিচা নয়। এটি শুধু নিরাপত্তার স্বার্থেই রাখা হয়েছে। এখানে কোনো ধরনের অপব্যয় বা অতিরিক্ত শ্রদ্ধা প্রদর্শনের উদ্দেশ্য নেই।
এর আগে খাল সংস্কার কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে লাল গালিচার বিষয়ে পরিবেশ উপদেষ্টাকে জিজ্ঞেস করা হয়। সেখানে আগের মেয়ররাও এমন হাঁকডাক দিয়ে খাল উদ্ধারে নামতেন, এখনও আপনারা লাল গালিচায় খালে নেমে উদ্বোধন করছেন—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, "আমি ওটা (লাল গালিচা বিছানো) খেয়াল করিনি, হয়ত আপনি সেটা খেয়াল করেছেন।"
রিজওয়ানা আরও বলেন, "আগে খাল উদ্ধার হয়নি, কিন্তু এখন আবার এই কার্যক্রম হাতে নিয়ে লাভ কী? এমনটা মনে হলে আমরা করবোটা কী? আমাদের ৮ মাস কিংবা ১৪ মাসে পুরোটা করা সম্ভব হবে না, কিন্তু শুরুটা তো করে দিতে পারি।"