চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় শুরু
চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার (০৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা প্রান্তে টোল আদায় কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এক্সপ্রেসওয়েতে প্রথম টোল দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
উদ্বোধনের সময় উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, "চট্টগ্রামে জুলাই গণঅভুত্থানে প্রথম শহীদ ওয়াসিম আকরামের নামে এ উড়াল সেতু। যারা গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন, তাদের জন্য বিভিন্ন জায়গায় স্মৃতিচিহ্ন তৈরি করছি, যেন সারাদেশের মানুষ এবং আগামী প্রজন্ম তাদের অবদানের কথা স্মরণ করতে পারেন।''
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম, বোর্ড সদস্য জাহিদুল করিম কচি ও সিডিএ'র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস।
গত আগস্টে এ উড়াল সড়কে পরীক্ষামূলকভাবে যান চলাচল শুরু হয়। নগরীর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ১৫.২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটির আগে নাম ছিল 'মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী সিডিএ ফ্লাইওভার'।
গত বুধবার (০১ জানুয়ারি) উড়াল সড়কটির নাম পরিবর্তন করে 'শহীদ ওয়াসিম আকরাম উড়াল সড়ক' করা হয়।
এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের জন্য নির্ধারিত টোলের পরিমাণ– সিএনজিচালিত অটোরিকশার (তিন চাকা) জন্য ৩০ টাকা, প্রাইভেট কারের জন্য ৮০ টাকা, জিপ ও মাইক্রোবাসের জন্য ১০০ টাকা, পিকআপের জন্য ১৫০ টাকা, মিনিবাস ও ৪ চাকার ট্রাকের জন্য ২০০ টাকা, বাস চলাচলে ২৮০ টাকা, ৬ চাকার ট্রাকের জন্য ৩০০ টাকা এবং কাভার্ডভ্যান চলাচলের জন্য ৪৫০ টাকা।
প্রকল্প পরিচালক ও সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, 'পতেঙ্গা প্রান্তে চারটি টোল প্লাজা স্থাপন করা হয়েছে। সেখানেই ওঠা-নামা করা সব গাড়ির টোল আদায় করা হবে। আপাতত সিডিএ টোল আদায় করবে। পরে টেন্ডারের মাধ্যমে আমরা অপারেটর নিয়োগ করব এ কাজের জন্য।'