ক্যাসিনো সম্রাটের প্রধান সহযোগী আরমানও গ্রেফতার
সম্রাটের সঙ্গে রোববার (৬ অক্টোবর) ভোরে চৌদ্দগ্রামে ধরা পড়েছেন তার দীর্ঘদিনের সহযোগী এনামুল হক ওরফে আরমান। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট।
কুমিল্লার সীমান্তে ধরা পড়ার পর দুজনই এখন পুলিশের জিম্মায় রয়েছেন।
র্যাবের সূত্র জানিয়েছে, আরমানই সম্রাটের ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের দেখাশুনা করতেন। সম্রাটের সঙ্গে দেখা করতে হলেও তার সহযোগিতার দরকার হত।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর, ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সম্রাটের পাশেই রয়েছেন আরমান। কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে সম্রাটের দেশ ছেড়ে পালানোর সিদ্ধান্তের সময়ও তাকে সঙ্গ দিয়ে গেছেন আরমান।
সম্রাট তার প্রাডো গাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছিলেন এক বছর আগে। র্যাবের গোয়েন্দা সুত্র জানিয়েছে, এরপর থেকে সম্রাট আরমানের হ্যারিয়ার গাড়িটি ব্যবহার করতেন।
নব্বইয়ের দশকে আরমান ঢাকায় আসেন। তিনি ছিলেন ফেনী সরকারি কলেজের ছাত্র। ঢাকায় এসে প্রথমদিকে তিনি বায়তুল মোকাররম মার্কেটে ইলেকট্রনিক সামগ্রী বিক্রি মুরু করেন।
বিএনপির শাসনামলে তিনি মতিঝিলের ক্লাবগুলোর জুয়ার চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন।
২০১৩ সালে আরমান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলগের ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ দখল করে নেন। এরপর থেকে তিনি সম্রাটের সঙ্গে মিলে অবৈধ ক্যাসিনো জগতের অন্যতম অলিখিত অধিপতি হয়ে ওঠেন।
সম্রাটের পৃষ্ঠপোষকতায় আরমান ক্যাসিনো ও জুয়ার সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। তিনি মূলত মোহামমেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাবের ক্যাসিনো ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন।
সম্রাট ও তার ‘বিশেষ’ অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য সব ধরনের আয়োজনের দায়িত্ব ছিল আরমানের ওপর।
নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও টেন্ডারবাজি করেও আরমান বিপুল অর্থের মালিক হন বলে অভিযোগ রয়েছে।