গাইবান্ধায় ৫ রাজাকারের ফাঁসির রায়
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/10/15/death-penalty.jpg)
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধার পাঁচ রাজাকারের ফাঁসির রায় দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এই রায় দেন ট্রাইব্যুনাল।
গতকাল সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করে আদেশ দেন।
এর আগে গত ২১ জুলাই এ মামলার শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলায় প্রসিকিউটর ছিলেন মোখলেসুর রহমান বাদল। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবুল হাসান।
মামলায় মোট আসামি ছয়জন। তাদের মধ্যে মো. রঞ্জু মিয়া গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। বাকিরা পলাতক।
পলাতক আসামিরা হল- রাজাকার কমান্ডার আবদুল জব্বার (৮৬), মো. জাফিজার রহমান খোকা (৬৪), মো. আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডল (৬২), মো. মমতাজ আলী বেপারি মমতাজ (৬৮) ও মো. আজগর হোসেন খান (৬৬)। এদের মধ্যে আজগর হোসেন খান মারা গেছেন।
তাদের বিরুদ্ধে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে হত্যা-গণহত্যা, ধর্ষণ, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট-অগ্নিসংযোগ, ভয়-ভীতি এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের ধর্মান্তর ও দেশান্তরে বাধ্য করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামীদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে এই সাজা দেওয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবারের রায়ে বলা হয়।
ট্রাইব্যুনালের রায়ে আরও বলা হয়েছে, এই মামলায় কারাবন্দি থাকা আসামী পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবে।
পলাতকদের গ্রেপ্তারে স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে। প্রয়োজনে ইন্টারপোলের সহযোগিতা নেওয়ার কথা বলেছেন ট্রাইব্যুনাল।
আসামিরা গাইবান্ধা সদরের নান্দিনা ও ফুলবাড়ি গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা এবং সবাই জামায়াতের সক্রিয় কর্মী। আসামিদের মধ্যে মো. আবদুল জব্বার, মো. জাফিজার রহমান খোকা ও মো. আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডল ১৯৭১ সালের আগে থেকেই জামায়াতের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। জব্বার ও খোকা মানবতাবিরোধী অপরাধে ১৯৭২ সালে গ্রেপ্তার হলেও তাদের কোনও বিচার হয়নি।