‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ ট্রেনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কুড়িগ্রাম-ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে বহুল প্রতিক্ষিত ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ ট্রেনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পতাকা উড়িয়ে এ ট্রেনের উদ্বোধন করেন তিনি।।
পাশাপাশি, উন্নত যাত্রীসেবার লক্ষ্যে উত্তরবঙ্গের আরও দুটি ট্রেন ‘রংপুর এক্সপ্রেস’ ও ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ ট্রেনে নতুন কোচ সংযোজনেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
কুড়িগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন নতুন আন্তঃনগর ট্রেন ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ চালুর মাধ্যমে জেলাটির সঙ্গে রেলপথে ঢাকার দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার কমে গেল। ফলে আগের চেয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা কম সময়ে গন্তব্যে যেতে পারবেন যাত্রীরা।
‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ সপ্তাহে ৬ দিন সকাল ৭টা ২০ মিনিটে কুড়িগ্রাম ছেড়ে বিকাল ৫টা ২৫ মিনিটে ঢাকা পৌঁছুবে। আবার ঢাকা থেকে রাত ৮টা ৪৫ মিনিট যাত্রা করে সকাল ৬টা ২০ মিনিটে কুড়িগ্রাম যাবে।
সপ্তাহে শুধু বুধবার বন্ধ থাকা এ ট্রেনটি মাঝপথে রংপুর-বদরগঞ্জ-পার্বতীপুর-জয়পুরহাট-সান্তাহার-মাধবনগর-ঢাকা-বিমানবন্দর স্টেশনগুলোতে বিরতি দিবে।
জানা যায়, ৬৫৩টি আসনের কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের শোভন চেয়ার ৫১০ টাকা, এসি চেয়ার ৯৭২ টাকা, এসি সিট ১১৬৮ টাকা এবং এসি বাথ ১৭৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
পরবর্তীতে, রংপুর-ঢাকা রুটের রংপুর এক্সপ্রেস ও লালমনিরহাট-ঢাকা রুটের লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে নতুন আমদানিকৃত ট্রেনের আধুনিক বগির সংযোজনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ রেলওয়ে মোট ৬২০ কোটি টাকায় ইন্দোনেশিয়া থেকে নতুন ২০০ বগি আমদানি করছে। প্রতিটি কোচ বা বগিতে ৩.০৩ কোটি টাকা খরচ পড়েছে। এসবের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৫০টি বগি দেশে এসেছে।
নতুন আন্তঃনগর ট্রেন ও কোচগুলোর উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম থেকে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।
মূখ্য সচিব নজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে রেলওয়ে সচিব মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন গত ১১ বছরে দেশের রেলপথের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের ওপর একটি অডিও-ভিজুয়াল উপস্থাপনা দেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিনবার কুড়িগ্রাম সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরকালে জেলার উন্নয়নে নানা প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি ঢাকা-কুড়িগ্রাম একটি আন্তঃনগর ট্রেন চালুরও প্রতিশ্রুতি দেন।
সে অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ আন্তঃনগর ট্রেনের সুবিধা পেল কুড়িগ্রামবাসী।