অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমগুলোর পেইজ সচল করছে ফেসবুক
ফেসবুকের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সরকারের চলমান সংকটের ইতি টেনে দেশটির গণমাধ্যমগুলোর ফেসবুক পেইজ আনব্লক করে দেবে মিডিয়া জায়ান্টটি। এমন তথ্য জানিয়েছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী জস ফ্রাইডেনবার্গ এবং যোগাযোগ মন্ত্রী পল ফ্লেচার।
এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এক বিবৃতিতে এই দুই মন্ত্রী বলেছেন, "ফেসবুক সরকারকে জানিয়েছে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এটি অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমগুলোর সব পেইজ সচল করে দেবে।"
তারা আরও বলেছেন, গণমাধ্যমের নীতিমালা নিয়ে তারা নতুন সংশোধনী আনতে কাজ করছেন।
সরকারের সঙ্গে নতুন চুক্তিতে যেতে পেরে এক বিবৃতিতে ফেসবুকও নিজেদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছ।
এর আগে অস্ট্রেলিয়ান ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে সব ধরণের নিউজ কনটেন্ট দেখা বা শেয়ারের অপশনটি ব্লক করে দেয় ফেসবুক।
বৃহস্পতিবার ঘুম থেকে উঠে অস্ট্রেলিয়াবাসী টের পান তারা স্থানীয় কিংবা বৈশ্বিক, কোন নিউজ সাইটের ফেসবুক পেজে আর ঢুকতে পারছেন না।
শুধু তাই নয়,বৃহস্পতিবার জরুরী ও সরকারী স্বাস্থ্যসেবা সম্বলিত আরও কিছু পেজে'র প্রবেশাধিকারও ব্লক করা ছিল; যদিও টেক জায়ান্ট কোম্পানিটি স্বীকার করে নেয় যে, এটি ভুল ছিল।
অস্ট্রেলিয়া সরকার জানায়, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ফেসবুকের "বিশ্বাসযোগ্যতা" হুমকির মুখে পড়েছে।
শুধু অস্ট্রেলিয়ার ভেতরে নয়, অস্ট্রেলিয়ার বাইরে থেকেও মানুষ ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে অস্ট্রেলিয়ান কোনও সংবাদ বা প্রকাশনা পড়তে পারছেন না এখনো।
ফেসবুকের এই পদক্ষেপ অস্ট্রেলিয়ায় প্রস্তাবিত একটি আইনের প্রতিক্রিয়া হিসাবে গৃহীত হয়; নতুন এই আইন অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ প্রকাশ করার জন্য দেশটির গণমাধ্যমকে অর্থ প্রদান করতে হবে ফেসবুক ও গুগলকে।
গুগল এবং ফেসবুকের মত কোম্পানিগুলো যুক্তি দিয়েছে যে, এ আইনের মাধ্যমে ইন্টারনেটের কাজের ধারা প্রতিফলিত হয় না। বরং অন্যায়ভাবে তাদের সাইটগুলোকে 'দন্ডের' সম্মুখীন হতে হচ্ছে।