‘রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই আওয়ামী সরকারকে উৎখাত করতে হবে’
রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই আওয়ামী সরকারকে উৎখাত করতে হবে। এ বছরই আওয়ামী সরকারের শেষ বছর। এরপর তাদের আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া হবে না। এসময় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আন্দোলনের জন্য কর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।
দেশব্যাপী নিদর্লীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন, ভোট চুরি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার (২ মার্চ) দুপুর পৌনে তিনটার দিকে নগরীর নাইস কনভেনশন সেন্টার প্রাঙ্গণে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকেই রাজশাহীসহ আশেপাশের জেলা ও উপজেলা থেকে ছাত্রদল, যুবদলসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজশাহী শহরে প্রবেশ করে। এরপর দলে দলে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন তারা। তবে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা বাস বন্ধ রাখায় নানা বাধা-বিপত্তির মুখে পড়তে হয় বলে তারা অভিযোগ করেন। এছাড়া, মোড়ে মোড়ে পড়তে হয় পুলিশি বাধার মুখেও। তবে, সমাবেশ জুড়েই বিএনপির কর্মীদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা ছিলো।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, প্রতিটি উপজেলা থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতাদের পর্যন্ত সমাবেশ স্থলে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ২০২১ সাল আওয়ামী সরকারের শেষ বছর। এ সময়ের পর আর এই সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া হবে না।
সমাবেশে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশালের বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীরা। তারা নির্বাচনে সরকারের পক্ষপাতমূলক ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আওয়ামী সরকারের পতন ঘটাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করার আহ্বান জানান। এসময় সমাবেশের প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন মাহমুদ টুকু। তিনি বলেন, রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
সমাবেশ উপলক্ষে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে সোমবার থেকেই বাস চলাচল বন্ধ রাখে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।
বিএনপি রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি চাইলেও, প্রশাসন তাদের নাইস কনভেনশনে সেন্টারে ইনডোরে তা করার অনুমতি দেয়। সমাবেশ ঘিরে কয়েকস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে প্রশাসন।