আমেরিকান, জাপানিদের চেয়েও বেশি খাবার অপচয় করেন বাংলাদেশিরা
একজন বাংলাদেশি নাগরিক বছরে গড়ে ৬৫ কেজি খাবার অপচয় করেন যা বিশ্বের অনেক ধনী দেশের নাগরিকদের তুলনায় বেশি।
গত বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) প্রকাশিত জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, রাশিয়ার একজন নাগরিক বছরে গড়ে ৩৩ কেজি, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ৫৯ কেজি, আয়ারল্যান্ডের নাগরিক ৫৫ কেজি এবং জাপানের একজন নাগরিক ৬৪ কেজি খাবার অপচয় করেন।
সেখানে বলা হয়, প্রতিবছর বাংলাদেশে গৃহস্থালী পর্যায়ে ১০ দশমিক ৬১ মিলিয়ন খাবার অপচয় হয়।
প্রতিবেদনটির তথ্য অনুযায়ী, প্রত্যেক ঘরে একজন ব্যক্তি দ্বারা খাবার অপচয়ের পরিমাণ নিউজিল্যান্ডে ৬১ কেজি, নেদারল্যান্ডসে ৫০ কেজি, বেলজিয়ামে ৫০ কেজি এবং অস্ট্রিয়ায় ৩৯ কেজি।
'ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স রিপোর্ট ২০২১' শিরোনামের এই প্রতিবেদনটি যৌথভাবে প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি) এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক এনজিও- ডব্লিউআরএপি।
গবেষণার আনুমানিক হিসেব অনুযায়ী, ২০১৯ সালে সারা বিশ্বের সব বাসস্থান, প্রতিষ্ঠান, দোকান এবং রেস্তোরাঁয় প্রায় ৯৩১ মিলিয়ন টন খাবার নষ্ট হয়েছে যা ভোক্তাদের ব্যবহারযোগ খাবারের ১৭ শতাংশ।
নষ্ট হওয়া খাবারের ৬১ শতাংশই হয় গৃহস্থালী পর্যায়ে। এছাড়া ফুড সার্ভিসের ক্ষেত্রে নষ্ট হয় ২৬ শতাংশ এবং খুচরা দোকানে নষ্ট হয় ১৩ শতাংশ।
বাড়িগুলিতে মাথাপিছু অপচয় করা খাদ্যের পরিমাণ সারা বিশ্বে গড়ে ৭৪ কেজি বলে উঠে এসেছে ওই প্রতিবেদনে, যেখানে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশগুলির পরিবারগুলি ৯১ কেজি নষ্ট করে, উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশগুলির প্রত্যেক নাগরিক বছরে খাবার অপচয় করে গড়ে ৭৯ কেজি করে।
ধনী দেশগুলোতে খাবার অপচয়কে একটি বড় সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে খাবার অপচয়ের পরিমাণ
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতের প্রত্যেক পরিবারের একেকজন ব্যক্তি বছরে গড়ে ৫০ কেজি করে খাবার অপচয় করে, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে সর্বনিম্ন।
মালদ্বীপে, প্রতি বছর পরিবার পর্যায়ে জনপ্রতি ৭১ কেজি খাবার নষ্ট হয়। আফগানিস্তানে এই পরিমাণ ৮২ কেজি, নেপাল ও ভুটানে ৭৯ কেজি, শ্রীলঙ্কায় ৭৬ কেজি এবং পাকিস্তানে ৭৪ কেজি।