চট্টগ্রামের পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ
বিনোদন কেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার, পর্যটন স্পটসহ চট্টগ্রামে সকল ধরণের জনসমাগম আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণে চট্টগ্রামের সব বিনোদন কেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার, পর্যটন স্পট সহ সকল ধরণের জনসমাগম আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান।
এর আগে গত সোমবার (২৯ মার্চ) করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়।
নতুন প্রদত্ত নির্দেশাবলী হল-
- সকল ধরনের জনসমাগম (সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/অন্যান্য) সীমিত করতে হবে। উচ্চ সংক্রমণযুক্ত এলাকায় সকল ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হল। বিয়ে/ জন্মদিনসহ যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে;
- মসজিদসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে;
- পর্যটন/ বিনদন কেন্দ্র/ সিনেমা হল/ থিয়েটার হলে জনসমাগম সীমিত করতে হবে এবং সকল ধরনের মেলা আয়োজন নিরুৎসাহিত করতে হবে,
- গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক যাত্রী পরিবহন করা যাবে না;
- সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাতে আন্তঃজেলা যান চলাচল সীমিত করতে হবে; প্রয়োজনে বন্ধ রাখতে হবে;
- বিদেশ হতে আগত যাত্রীদের ১৪ দিন পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক (হোটেলে নিজ খরচে) কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে;
- নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী খোলা/ উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন পূর্বক ক্র্য-বিক্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে; ওষুধের দোকানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে;
- স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহে মাস্ক পরিধানসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে;
- শপিং মলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে;
- সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে;
- অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরা/ আড্ডা বন্ধ করতে হবে; জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ১০টার পর বাইরে বের হওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে;
- প্রয়োজনে বাইরে গেলে মাস্ক পরিধানসহ সকল ধরনের স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে। মাস্ক পরিধান না করলে কিংবা স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;
- করোনায় আক্রান্ত/ করোনার লক্ষণযুক্ত ব্যক্তির আইসোলেশন নিশ্চিত করতে হবে। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদেরও কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে;
- জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস/ প্রতিষ্ঠান/ শিল্প কারখানাসমূহ ৫০ ভাগ জনবল দ্বারা পরিচালিত করতে হবে। গর্ভবতী/ অসুস্থ/ বয়স ৫৫- উর্ধব কর্মকর্তা/কর্মচারীর বাড়িতে অবস্থান করে কর্ম সম্পাদনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;
- সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা যথাসম্ভব অনলাইনে আয়োজনের ব্যবস্থা করতে হবে;
- সশরীরে উপস্থিত হতে হয় এমন যে কোনো ধরনের গণ পরীক্ষার ক্ষেত্রে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে;
- হোটেল-রেস্তোরাঁসমূহে ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক মানুষের প্রবেশ বারিত করতে হবে;
- কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ এবং অবস্থানকালীন সর্বদা বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে;
আগামী দুই সপ্তাহ এসব বিধিমালা কার্যকর থাকবে।