খালিশপুরের পাটশিল্পের কথকতা
বাংলাদেশের জীবনমুখী পপ গানের অবিসংবাদিত গুরু আজম খানের গাওয়া সেই বহুশ্রুত গান- 'রেললাইনের ঐ বস্তিতে/ জন্মেছিল একটি ছেলে/ মা তার কাঁদে/ ছেলেটি মরে গেছে' আপনার মনে পড়বে যখন এক সময়ের প্রাণচঞ্চল বাণিজ্যিক, বিভাগীয় খুলনা শহরের খালিশপুর রেললাইনের সামনে গিয়ে দাঁড়াবেন।
রেললাইনের সামনেই পিপলস জুট মিল। খানিকটা দূরত্বে ক্রিসেন্ট ও প্লাটিনাম জুট মিল। এই পাটকলগুলো বেশ কিছুদিন হয় লকড-আপ। শ্রমিকেরা অধিকাংশই চাকুরিচ্যূত।
গত ২৩শে ফেব্রুয়ারি বিকেলবেলায় যখন খালিশপুর রেললাইনের সামনে দাঁড়ালাম, তখন একটি চায়ের দোকান থেকে আমাকে দেখে হাসি মুখে হাত নেড়ে স্বাগত জানালেন মূক ও বাক-প্রতিবন্ধী প্রৌঢ়া ফুলজান বিবি (বয়স আনুমানিক ৫৫-৫৮ বছর)। তিনি পিপলস জুট মিলে বদলি শ্রমিকের কাজ করেছেন বহু বছর। অন্য অনেক চাকরিচ্যূত পুরুষ বা নারী শ্রমিক যদিও-বা নিজেদের পাওয়া-না পাওয়া, সমস্যা-বঞ্চণার কথা বলতে পারেন বা পারছিলেন, ফুলজান বিবি ঘন ঘন মাথা নেড়ে, হাসি মুখে হাত দুলিয়ে অনেক কিছুই বলার চেষ্টা করছিলেন। তাঁর হয়ে এলাকার অন্য চাকরিচ্যূত শ্রমিকেরাই বলে দিলেন তাঁর নাম-ধাম সবকিছু।
রেললাইনের দু'পাশে সার সার বস্তি। হতাশ, কর্মচ্যূত শ্রমিকেরা চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন। এখানেই কথা হলো বরিশালের মোহাম্মদ হারুণের সাথে। বদলি শ্রমিক হিসেবে খালিশপুর শিল্পাঞ্চলে কাজ করেছেন প্রায় সাত-আট বছর। গত ২ জুলাই ২০২০ তারিখে হুট করে পিপলস, ক্রিসেন্ট বা ইস্টার্ণ-সহ খুলনা শিল্পনগরীর বেশ কিছু পাটকল বন্ধ হয়ে যাবার পর থেকে অটো চালাচ্ছেন। দিনশেষে মহাজনের কাছে প্রদেয় অটোর ভাড়া থেকে আয়ের অংশ জমা দেবার পর নিজের কাছে ২৫০ টাকার মতো থাকে, যা দিয়ে রেললাইনের এই বস্তিতে মাসে ১৫০০ টাকা ঘর-ভাড়াসহ স্ত্রী ও একটি ছেলে সন্তানের খরচ চালানো বেশ কঠিন।
ছোট ছোট খুপড়ির মতো এই এক কামরার ঘরগুলোরও মাসিক ভাড়া দেড় হাজার টাকা- এটা শুরুতে বিশ্বাস হতে চাইবে না।
'এত বছর এই শহরে আছি। এখন হুট কইরা যাব কই? মোর দ্যাশ আসলে বরিশাল। প্লাটিনামে বদলি আর পারমানেন (পার্মানেন্ট) হিসাবে সব মিলায় ৩৪ বছর কাজ করছি। কিন্তু এই কয় মাসে ঘরে যে কত দেনা! বউ-বাচ্চার সামনে মুখ দেখাইতে পারি না,' বললেন মোহাম্মদ আবুল কালাম। মজুরী কমিশন (২০১৫-২০২০) অনুযায়ী কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনাদায়ী বেতন ও তিনটি বৈশাখী ভাতাসহ তার প্রায় তিন লাখ টাকার মতো পাওনা।
খানিকটা অবাক চোখেই দেখছিলাম এক পাশে তালা ঝুলানো ফ্যাক্টরি গেট, মাঝখানে রেললাইন আর দু'পাশে ঝুপড়ির মতো ছোট ছোট ঘরের চাকরিচ্যূত শ্রমিকেরা এর ভেতরেই শখ করে কেউ আরও ছোট কোনো কাঠের খোপে পালছেন কবুতর। মানুষের জীবনের ছোট ছোট শখ বা অভিলাষ যেন কিছুতেই লুপ্ত হয় না!
'কবুতর পালি হাউশ কইরা! আমি ক্রিসেন্টে প্রিপেয়ারিং সেকশনে কাজ করছি অনেকদিন। রাজযোগালীর কাজ। দুই নম্বর ফিটারে ব্রেকার ফিটারের কাজও করছি মাইয়া মানুষ হইয়া। কিন্তু এতগুলা মাস মিল বন্ধ। এখন আধা কেজি আটাও কোনো দোকান ধারে দিতে চায় না,' বললেন নাসিমা বেগম নামের এক বদলি শ্রমিক। মেয়েরা মূলত পাটকলগুলোয় বদলি শ্রমিক হিসেবেই কাজ করেছেন।
'এই এলাকায় আমরা বরিশাইল্যারাই সংখ্যায় বেশি। খুলনার মাইনষের জনতা কম, বংশে কম অরা, ওগো মানু আহে নাহি?' বললেন নাসিমা বেগম। সাদা বাংলায় বললে, খুলনার মানুষের চেয়ে বরিশালের মানুষের ভেতর জন্মহার হয়তো বেশি এবং তাই এই পাটকলের শ্রমিকের যোগান সেই পাকিস্থান আমল থেকেই বরিশালের মানুষই বেশি দিয়েছে বলে জানা গেল।
নাসিমা বেগমের ছেলেও কারখানার বদলি শ্রমিক ছিলেন। ২ জুলাই ২০২০-এর পর থেকে তিনিও বেকার। একই অবস্থা পঁয়ত্রিশ বছর বয়সী শ্রমিক পারুলের। এই শিল্প এলাকায় শ্রমিক হিসেবে তিনি কাজ করছিলেন সেই ২০০৯ সাল থেকে। তার স্বামী কারখানা বন্ধ হবার পর থেকে এখন রিকশা চালান।
২ জুলাই ২০২০-এ কারখানাগুলোতে লক-আপের পর থেকে শুধু অভাব বা অনাহারই নয়, লকডাউনবিরোধী ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের নেতা-কর্মীরাও অনেকেই সইছেন জেল-জুলুম, হয়রানিসহ নানা অত্যাচার। যেমন, ২৩ ফেব্রুয়ারি সকালেই ইস্টার্ণ জুট মিলে গিয়ে সেখানে একাধিক ট্রেড ইউনিয়ন নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে খুলনার পাটকলগুলোর বর্তমান সন্ত্রস্ত্র পরিস্থিতি।
এমনই এক শ্রমিক অধিকার আন্দোলন কর্মী হলেন যুবক শ্রমিক নেতা অলিয়ার রহমান শেখ। গত ২ জুলাই ২০২০ তারিখ জুট মিল বন্ধ হবার পর ৫ তারিখ তাকে মাঝরাতে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথমে দু'দিন রহস্যজনক স্থানে অন্তরীণ রাখার পর চালান করা হয় কোর্ট থেকে জেলে এবং তিনি ২২ দিন জেল খাটেন। পরে ১৯ অক্টোবর আবার গ্রেপ্তার হন। বর্তমানে তিনি বিল ডাকাতিয়া এলাকায় এবং কারখানার পেছনেই তার গ্রামে সামান্য ব্যক্তিগত জমিতে মাশরুম চাষ করছেন।
অলিয়ার রহমান শেখ বললেন, 'অনেক বদলি শ্রমিক এখনো তাদের পাওনা টাকা পায় নাই। কোনো কোনো পাট শ্রমিক শেষ বয়সে অন্য পেশা নিতে গিয়া- মনে করেন ভ্যান গাড়ি চালাইতে গিয়া- অভ্যাস নাই- অ্যাকসিডেন্ট হইয়া মারাও গেছে। সব মিলায় খুব খারাপ অবস্থা!'
২৩ ফেব্রুয়ারি সকালেই কথা হয়েছিল ইস্টার্ণ জুট মিলের দীর্ঘ দিনের পোড় খাওয়া ট্রেড ইউনিয়ন নেতা মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সাথেও। বর্তমানে ইস্টার্ণ জুট মিল ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি আলাউদ্দিন এবং যুগ্ম সম্পাদক ইউসুফ গাজি হলেও মোজাম্মেল হক এই কারখানা এলাকায় পিতৃপ্রতিম চরিত্র। পাকিস্থান আমলের শেষ দিক থেকেই শ্রমিকদের পাশে থেকে তিনি আন্দোলন-সংগ্রাম করছেন। ১৯৭৮ সালে পাট শ্রমিকদের ১৭ দফা আন্দোলনে ছয় মাস রাজবন্দী থেকে প্রথম তার শ্রমিক নেতা হিসেবে খ্যাতি বা সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। আজো তিনি রাজপথ ছাড়েননি।
অন্য অনেক শ্রমিক নেতাই কারখানা লকডাউন হবার সাথে সাথে মালিকপক্ষের সাথে আপস করে যেখানে প্রচুর টাকার মালিক হয়েছেন, সেখানে এই বর্ষীয়ান নেতা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে এখনো পথেই রয়ে গেছেন বলে স্থানীয় শ্রমিকেরা সমীহের সাথে জানালেন।
পাটকলের শ্রমিকরা অত্যধিক ট্রেড ইউনিয়ন করে পাটশিল্পের লোকসান করছে কি না, এমন অভিযোগের বিপরীতে মোজাম্মেল হকের বক্তব্য হচ্ছে, প্রতি বছর পাট ফলনের মৌসুমে বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশন (বিজেএমসি) পাট কেনে না। তখন সস্তা দামে প্রাইভেট পাট ব্যবসায়ীরা পাট কেনেন। অন্যদিকে দেশের ২২টি পাটকল পাট কেনে দু-তিন মাস পরে অনেক চড়া দামে। এটা হলো ক্ষতির প্রধান কারণ। এছাড়াও কারখানা কর্তৃপক্ষ বেশি দামে তৃতীয় শ্রেণির যন্ত্রাংশ কিনে নিজেরা আঙুল ফেঁপে কলাগাছ হয়েছেন। কিন্তু কারখানার কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আর দোষ চেপেছে শ্রমিকদের ঘাড়ে।
'একটা সময় এই কারখানা কত গমগম করছে! তিনটা শিফটে মানে ২৪ ঘণ্টাই মিল চালু থাকছে। আর আজ কি অবস্থা! এই গত বছর জুলাইয়ের দুই তারিখ কারখানা লকডাউন ঘোষণার পর আমরা আন্দোলনে গেলাম। এক মহিলা পুলিশ অফিসারের নেতৃত্বে পুলিশ এসে এই কারখানার সামনের মাঠে জলকামান, টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ছে। নারী শ্রমিকই আহত হইলো একশোর মতো। আড়াইশো জনকে আসামী করা হইছে,' ক্ষোভের সাথে জানালেন মোজাম্মেল হক।
ইস্টার্ণ জুট মিলেই গত ১৪ বছর ধরে মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে কাজ করছেন নিরঞ্জন সরকার। শিক্ষাগত যোগ্যতায় তিনি এইচএসসি পাশ। শ্রমিকদের হাত কেটে গেলে ফার্স্ট এইড বা ব্যান্ডেজ বেঁধে দেওয়া জাতীয় কাজ করতেন। চৌদ্দ বছর কাজ করে যখনই মাত্র তার চাকরিটা নিয়মিত হতে যাচ্ছিল, তখনই গত ২রা জুলাই ২০২০ তারিখে কারখানা বন্ধ হয়ে যায়।
খুলনার গাবতলা এলাকার মানুষ নিরঞ্জন সরকার অবশ্য ছোট একটি ডিসপেন্সারির মালিক। তার ডিসপেন্সারিতে বসেই মোজাম্মেল হক, অলিয়ার রহমান শেখ বা আরও একাধিক ভুক্তভোগী শ্রমিক নেতা-কর্মীর সাথে কথা হয়েছিল।
'ওষুধের বেচা-কেনা নাই। অনেক শ্রমিক পরিবার তো জায়গা ছেড়ে গেছে। ছেলেটারে ইন্টারে পড়াচ্ছি। ওর কোচিংয়ের খরচা আছে,' বললেন নিরঞ্জন সরকার।
কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া টাকায় যে নিয়মিত শ্রমিকেরা সব সঞ্চয় উজাড় করে একটা মুদির দোকান হয়তো খুলেছেন, তারাও আছেন অনিশ্চয়তায়। অসংখ্য শ্রমিক পরিবার ইতোমধ্যে কারখানা চত্বর ছেড়ে যাওয়ায় এলাকার সব বাজার-ঘাট, দোকান-পাটের কেনা-বেচা মুখ থুবড়ে পড়েছে।
কিন্তু এক সময়ের গৌরবোজ্জ্বল পাটশিল্পের আজ কেন এই বেহাল দশা?
সত্যি বলতে বাংলাদেশে দুই দশক আগেও প্রাণচাঞ্চল্য মুখর পাটশিল্পের বিকাশ ও পরবর্তী ক্ষয় সম্পর্কে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) শ্রমিক সংগঠন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের মুখপত্র 'শ্রমিক অধিকার'-এর সেপ্টেম্বর ২০১৯ সংখ্যায় বলা হচ্ছে: 'বাংলাদেশে পাট চাষ এবং পাটশিল্প গড়ে ওঠার এক দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৮৮৫ সালে জর্জ অকল্যান্ড একজন বাঙালি অংশীদারকে (শ্যামসুন্দর সেন) নিয়ে কলকাতার হুগলি নদী তীরবর্তী রিশড়া নামক স্থানে প্রথম পাটকল স্থাপন করেন। আমেরিকার গৃহযুদ্ধজনিত (১৮৬১-৬৫) কারণে সে দেশ থেকে সারা পৃথিবীতে তুলার সরবরাহ কমে যাওয়ায় পাটশিল্পের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। ১৯৪৫ সাল নাগাদ অবিভক্ত বাংলায় পাটের কারখানার সংখ্যা দাঁড়ায় ১১১-তে। ব্রিটিশ শাসন অবসানের পর পাটশিল্পের কারখানাগুলো সব পড়ে পশ্চিমবঙ্গে আর পাট হবার প্রধান কেন্দ্র পূর্ব বাংলায় কোনো পাট কারখানা ছিল না। পরবর্তীতে বাংলাদেশ নামের এই ভূখণ্ডে পাটশিল্পের যাত্রা শুরু হয় ১৯৫১ সালে নারায়ণগঞ্জে বাওয়ানী জুট মিল স্থাপনের মাধ্যমে। সেই বছরের ১২ ডিসেম্বর ২৯৭ একর জায়গা আর ৩,৩০০ তাঁত নিয়ে এশিয়ার বৃহত্তম পাটকল প্রতিষ্ঠা করে আদমজীরা তিন ভাই। প্রাথমিকভাবে শেয়ার বিক্রি করে ৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে এই কারখানা বার্ষিক ৬০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী শিল্পে পরিণত হয়। পাটশিল্পে এই সম্ভাবনা দেখে একের পর এক কারখানা স্থাপিত হতে থাকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্বে পাটকলের সংখ্যা ছিল ৭৫টি। ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ রাষ্ট্রপতির আদেশে পি ও ২৭ (বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্টারপ্রাইজেস ন্যাশনালাইজেশন অর্ডার ১৯৭২) অনুযায়ী ব্যক্তিমালাকানাধীন ও পরত্যক্ত পাটকলসহ সাবেক ইপিআইডিসি-এর মোট ৬৭টি পাটকলের তদারকি, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন গঠিত হয়। ১৯৮১ সালে এর নিয়ন্ত্রণাধীন মিলের সংখ্যা ছিল ৮২।'
এত সুন্দর যে শিল্পের সূচনা, তার এমন নৈরাজ্য ও ক্ষয়ের মূল কারণ কী?
খালিশপুর শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের সাথে দীর্ঘদিন কাজ করছেন বাসদের স্থানীয় নেতা আব্দুল করিম। তার ভাষ্যমতে, 'বিশ্বব্যাংক ও সাম্রাজ্যবাদী দাতাগোষ্ঠীর পরামর্শ ও চাপে ১৯৮২ সালের পর বিরাষ্ট্রীয়করণ ও পাটশিল্প থেকে পুঁজি প্রত্যাহার শুরু হলে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো বন্ধ হওয়া শুরু হয়। ২০০৭ সালে পাটশিল্পকে সানসেট ইন্ডাস্ট্রি আখ্যা দিয়ে একের পর এক কল বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হয়। সেই হয়েছিল ক্ষয়ের শুরু।'
কম্যুনিস্ট পার্টি অফ বাংলাদেশের (সিপিবি) স্থানীয় নেতা এস.এ. রশিদ বললেন, '১৯৮৪ সালেও খুলনা শিল্পাঞ্চল প্রাণের স্পন্দনে গমগম করেছে। স্টিল ইন্ডাস্ট্রি, অ্যাজাক্স জুট মিল, টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটি... কি না ছিল? সেনাশাসক এরশাদ ১৯৮৪ সালে প্রথম বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে এই এলাকার কল-কারখানাগুলো বন্ধ করা শুরু করে, যার ধারাবাহিকতা আজো চলছে। আমরা, বাম সংগঠনগুলো সাধ্যমতো কাজ করার চেষ্টা করছি। তবে মাঝে মাঝে সত্যিই হতাশ লাগে।'
গত বছর লকডাউনের সময়ও অসংখ্য শ্রমিক পরিবার খুব কষ্ট করেছেন। এবার লকআপের পর কোভিডের দ্বিতীয় স্ট্রেইনের সময় দ্বিতীয় দফা লকডাউন কীভাবে পার করবেন খালিশপুরের শ্রমিকেরা, তা সত্যিই বলা দূরূহ।
- লেখক: কথাসাহিত্যিক