অক্সিজেন নিয়ে মানুষের পাশে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সমাজ
বাড়তে থাকা কোভিড-১৯ সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি জীবিকা নিয়েও সংকটের সম্মুখীন সাধারণ মানুষ। মানুষের এই দুর্দিনে পাশে দাড়াতে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দেশের বৃহৎ কয়েকটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান।
দমবন্ধ হয়ে আসা কোভিড আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন ও ওষুধপত্র পাঠানো থেকে শুরু করে লকডাউনের কারণে উপার্জনহীন মানুষকে নগদ ও খাদ্য সহযোগিতা পাঠানোর মাধ্যমে সামাজিক দায়বদ্ধতার নিদর্শন তুলে ধরছে এসব প্রতিষ্ঠান।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে সর্বপ্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর দ্রুত বেড়েছে সংক্রমণ। দেশের অন্যান্য প্রান্তের মতো চট্টগ্রামেও দিন দিন বাড়তে থাকে অক্সিজেনের চাহিদা।
বন্দর নগরে কিছু প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়ী লাভের আশায় সংকটের মাঝেই অক্সিজেনের মূল্য বাড়িয়ে দেন।
তবে ব্যতিক্রম ছিলেন অনেকেই। তারা এই দুঃসময়ে অসহায় মানুষদের পাশে এসে দাঁড়ান। জীবন বাঁচাতে অক্সিজেন এবং ওষুধপত্রের সরবরাহ নিশ্চিত করেন।
সম্মুখসারির এই সাহায্যকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আছে মোস্তফা-হাকিম গ্রুপ, জিপিএইচ ইস্পাত এবং আবুল খায়ের গ্রুপের মতো দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন বিনামূল্যে হাজার হাজার অক্সিজেন ট্যাংক পূর্ণ করে দিচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানগুলো।
এছাড়া, পিএইচপি ফ্যামিলি এবং কেএসআরএমসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে খাদ্য ও নগদ সহায়তা বিতরণ করে আসছে। বিনামূল্যে ওষুধপত্র সরবরাহ করে সহায়তা করেছে এলবিয়ন গ্রুপ।
চট্টগ্রামের বেসরকারি শিল্পখাতের প্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদিত অক্সিজেনের ৮০ শতাংশই বিনামূল্যে বিতরনের মাধ্যমে এক বিরল উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। হাসপাতালে নিয়মিত অক্সিজেন সরবরাহ থেকে শুরু করে জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রেরণ এবং সিটি করপোরেশন ও ওয়ার্ড অফিসে অক্সিজেন ব্যাংক স্থাপনের মাধ্যমে, চট্টগ্রামের মানুষের দ্বারপ্রান্তে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে এসব প্রতিষ্ঠান।
এছাড়া, প্রতিষ্ঠানগুলো নগরের বিভিন্ন হাসপাতালেও কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা স্থাপনের মাধ্যমে অক্সিজেন সংকট মোকাবেলায় ভূমিকা রেখেছে।
সামাজিক এবং কর্পোরেট দায়িত্বশীলতার বাইরে গিয়েও এসব প্রতিষ্ঠান সাহায্যপ্রত্যাশী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা বলছে, যদি সমাজের সকল মানুষ যার যা আছে, তাই নিয়ে এগিয়ে আসে, তাহলে যেকোনো সংকট সহজেই মোকাবিলা করা সম্ভব।
উদাহরণ হিসেবে, চট্টগ্রাম নগরের উত্তর কাট্টলীর বাসিন্দা তাহমিনা হকের কথা বলা যাক। তাহমিনা কোভিড আক্রান্ত হয়ে বাসাতেই চিকিৎসা গ্রহণ করছিলেন।
গত শুক্রবার, হঠাৎ করেই রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫ শতাংশের নিচে নেমে আসলে তাহমিনার তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
এই অবস্থায় কৃত্রিম অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়লেও তাহমিনার কর্মসংস্থানহীন স্বামী মাহফুজুর রহমানের পক্ষে দশ হাজার টাকা দিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনা কঠিন হয়ে পড়ে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বর্তমানে সিলিন্ডার দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে।
তবে শেষপর্যন্ত তাহমিনার স্বামী তার জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে পেরেছিলেন। আর তা সম্ভব হয়েছিল মোস্তফা হাকিম গ্রুপের কল্যাণে।
মাহফুজুর বলেন, "গত পাঁচ দিনে আমরা তাদের কাছে থেকে কয়েকবার অক্সিজেন সিলিন্ডার পুনরায় ভরে নিয়ে এসেছি। তাদের সাহায্য ছাড়া আমার স্ত্রীকে বাঁচানো সম্ভব হতো না।"
তাহমিনার মতো হাজারো কোভিড আক্রান্ত রোগী এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে সহায়তা পাচ্ছেন।
মোস্তফা হাকিম গ্রুপ:
২০২০ সালের মে মাসে মোস্তফা হাকিম গ্রুপ চীন থেকে এক কোটি দশ লাখ টাকা ব্যয়ে এক হাজার সিলিন্ডার আমদানি করে। এরমধ্যে আকাশপথে ৫০০ এবং সমুদ্রপথে ৫০০টি সিলিন্ডার আনা হয়। চট্টগ্রাম নগরের ৪১টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস নিয়ে নেটওয়ার্ক সৃষ্টির মাধ্যমে সিলিন্ডারগুলো সাহায্যপ্রার্থী পরিবারের কাছে সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়।
কোভিড-১৯ মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর প্রতিষ্ঠানটি প্রতিটি ওয়ার্ডে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিতরণের জন্য ২০ জন নতুন প্রতিনিধি নিয়োগ করেছে। তারা চট্টগ্রামের উপজেলা পর্যায়েও অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে।
সীতাকুন্ডে প্রতিষ্ঠানটির কারখানায় দৈনিক অক্সিজেন উৎপাদন ক্ষমতা পাঁচ হাজার ২০০ কিউবিক লিটার। গত বছর প্রতিষ্ঠানটি বিনামূল্যে দৈনিক চার হাজার ৯০০ কিউবিক লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন বিনামূল্যে সরবরাহ করে। এবার মূলত হাসপাতাল এবং মানুষের চাহিদার ভিত্তিতে অক্সিজেন সরবরাহ করে চলেছে মোস্তফা হাকিম।
এর বাইরে প্রতিষ্ঠানটি এক লাখের অধিক সংখ্যক মানুষকে সাবান ও চাল, তেল, পেঁয়াজ, ডাল, আলুর মতো খাদ্য সহায়তা দিয়ে সাহায্য করেছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান, তারা সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থাপনা স্থাপন করেছে। এর বাইরে চিকিৎসা সামগ্রী দিয়েও প্রতিষ্ঠানটি সহায়তা করে আসছে।
এছাড়া, নগরের কাট্টালী এলাকায় বন্যার কারণে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সৎকারের স্থানটিও অকার্যকর হয়ে পড়ছিল, প্রতিষ্ঠানটি এর পুনঃসংস্কার করে।
মোস্তফা হাকিম গ্রুপের একজন পরিচালক মোহাম্মদ সারওয়ার আলম। যোগাযোগ করা হলে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে তিনি বলেন, "আমরা গত ২৫ বছর ধরে মানব সেবামূলক কাজ করে আসছি। যেকোনো সংকট দেখা দিলেই আমরা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। আমাদের মুনাফার সিংহভাগ আমরা প্রতিবছর সিএসআর (ব্যবসায়ের সামাজিক দায়বদ্ধতা) হিসেবে ব্যয় করি। মহামারির সময়ে মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে তাদের জীবন বাঁচাতে আমরা তা আরও বহুগুণে বাড়িয়েছি।"
জিপিএইচ ইস্পাত:
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জিপিএইচ ইস্পাত গত বছর জুলাইয়ে জেলা প্রশাসন এবং সিভিল সার্জনের সহযোগিতায় চট্টগ্রামের সরকারি হাসপাতালগুলোতে এক হাজার অক্সিজেন সিলিন্ডার দান করে।
গত বছর জুলাইয়ে প্রতিষ্ঠানটির ২৫০ টন উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন অক্সিজেন প্ল্যান্ট চালু হয়। প্ল্যান্টটিতে গ্যাস আকারের অক্সিজেন ছাড়াও প্রায় ২২ টন তরল মেডিকেল অক্সিজেন উৎপাদিত হয়। বর্তমানে এই অক্সিজেন বিভিন্ন হাসপাতাল ও সাধারণ মানুষের কাছে বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়।
বিভিন্ন হাসপাতালে নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে জিপিএইচ ইস্পাত পরিবহনের জন্য ট্রাক কেনাসহ ১১ জন কর্মী নিয়োগ করেছে। শুধু চট্টগ্রাম নগরীতেই নয়, বিভিন্ন গ্রামীণ অঞ্চলেও অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটি বিনামূল্যে পরিবহন খরচ ছাড়াই বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন পৌঁছে দিচ্ছে। দেশে দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানলে চিকিৎসার প্রয়োজনে অক্সিজেন সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে প্রতিষ্ঠানটি চব্বিশ ঘন্টা কারখানা চালু রাখার উদ্যোগ নেয়।
জিপিএইচ ইস্পাতের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমাস শিমুল বলেন, "দেশের মানুষ জিপিএইচকে আজ বৃহৎ একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। মানুষের প্রতি নৈতিক দায়িত্ব থেকে আমরা এই কঠিন সময়ে মুনাফার কথা চিন্তা না করে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছি।"
তিনি আরও বলেন, "অক্সিজেন সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে আমরা চব্বিশ ঘন্টাই আমাদের কারখানা চালু রেখেছি। হাসপাতালগুলো ছাড়াও যে কেউ আমাদের এখানে এসে বিনামূল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার পুনরায় ভরে নিয়ে যেতে পারেন। আমাদের দলের সদস্যরা সর্বদা প্রস্তুত আছেন। যখনই কোনো হাসপাতাল বা সিভিল সার্জনের কাছ থেকে বার্তা আসছে, তখনই তারা অক্সিজেন নিয়ে ছুটছেন।"
"ভারত অক্সিজেন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায়, ভবিষ্যতে মেডিকেল অক্সিজেনের চাহিদার কথা বিবেচনা করে, আমাদের বর্তমান প্ল্যান্টের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নতুন কিছু যন্ত্রপাতির প্রয়োজন। উৎপাদন সক্ষমতা বাড়লে, আমরা দৈনিক ৭০-৮০ টন মেডিকেল অক্সিজেন উৎপাদন করতে পারব," বলেন তিনি।
আবুল খায়ের গ্রুপ:
গতবছর দেশে মহামারি আঘাত হানার পর থেকেই আবুল খায়ের গ্রুপ বিনামূল্যে অক্সিজেন সরবরাহ করে আসছে। হাসপাতালে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি খাদ্য সহায়তাও দিয়ে আসছে।
চট্টগ্রামের একেএইচ কারখানার অক্সিজেন প্ল্যান্টের মাধ্যমে ২০২০ সালের মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ১০ হাজারের অধিক সিলিন্ডারে পুনরায় অক্সিজেন পূর্ণ করে দিয়েছে।
দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর এ বছরের ২৮ এপ্রিল থেকে প্রতিষ্ঠানটি মেডিকেল অক্সিজেন উৎপাদন ১০ টন থেকে বাড়িয়ে ২২ টনে নিয়ে গেছে।
স্থানীয় প্রতিষ্ঠান লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড এবং স্পেকট্রা অক্সিজেন লিমিটেডের কাছে তরল অক্সিজেন পাঠানোর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি অক্সিজেন বিতরণ করে থাকে। অক্সিজেন বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ অনুদান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেওয়া হবে বলে জানায় এই প্রতিষ্ঠান।
আবুল খায়ের স্টিল মেল্টিং লিমিটেডের সিনিয়র ব্যবস্থাপক এবং ইন-চার্জ (এইচআর অ্যান্ড এডমিন) মোহাম্মদ ইমরুল কাদের ভূঁইয়া বলেন, ভারত সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় প্রতিষ্ঠানটি দেশের চলমান সংকট মোকাবেলায় অক্সিজেন উৎপাদন বৃদ্ধিতে এগিয়ে এসেছে।
"আমরা দেশজুড়ে পাঁচ হাজার অক্সিজেন ট্যাংক সরবরাহ করেছি। ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর থেকে আমরা ২০টি হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা স্থাপন করেছি," বলেন তিনি।
তিনি আরও জানান, "সাহায্যপ্রার্থী মানুষের কাছে নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে আবুল খায়ের গ্রুপের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।"
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, "কোভিড-১৯ চিকিৎসায় অক্সিজেন অত্যন্ত জরুরি উপাদান। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অক্সিজেন সরবরাহ ব্যতীত, কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসা প্রদানে মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দিত।"
"আমরা তাদের সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ করছি," বলেন রাব্বি।
পিএইচপি পরিবার:
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারির প্রথম ঢেউ চলাকালে পিএইচপি পরিবার ১০ হাজার মানুষের এক মাসের খাদ্য সহায়তা দিসেবে চাল, ডাল, আলু, তেল, পেঁয়াজ ইত্যাদি সামগ্রী বিতরণ করে। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলেও প্রতিষ্ঠানটি দুই কোটি টাকা অনুদান দেয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ১০ হাজার কর্মীর জন্য নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
ঈদ-ঊল-ফিতরের নিয়মিত বোনাস ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি কোভিড-১৯ এবং রমজান মাস কেন্দ্র করে কর্মীদের ১০টি বোনাস দিয়ে পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রতিষ্ঠানটি জানায় গত ৫ মে কর্মীরা তাদের বেসিক বেতনের ১১ গুণ বেশি বোনাস পায়।
পিএইচপি পরিবারের পরিচালক মোহাম্মদ আকতার পারভেজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, "এই কঠিন সময়ে আমাদের সহকর্মীদের মনোবল বাড়াতে আমরা অতিরিক্ত বোনাস প্রদান করেছি।"
কেএসআরএম:
দেশের অপর শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম মহামারির সময় খাদ্য ও নগদ সহায়তার মাধ্যমে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তারা খাদ্য বিতরণ ছাড়াও অন্তত পাঁচ হাজার মানুষকে নগদ সহায়তা প্রদান করেছে। প্রত্যেককে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত নগদ অর্থ দেওয়া হয়।
এলবিয়ন:
চট্টগ্রাম ভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এলবিয়ন গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটি মহামারির সময় ৫০ লাখ টাকা সমমূল্যের ওষুধ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক বিতরণ করে।
এছাড়াও তারা দুস্থ পরিবারে খাদ্য বিতরণে অংশ নেয়।
প্রতিষ্ঠানটি মূলত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় বিভিন্ন হাসপাতাল এবং আইসোলেশন কেন্দ্রে বিনামূল্যে ওষুধপত্র বিতরণ করে।
এলবিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান রাইসুল উদ্দীন সৈকত দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "মুনাফা অর্জনের চেয়েও এবার আমরা সেবা প্রদানে আগ্রহী। আর তাই, মহামারি মোকাবেলায় আমরা সরকার এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।"