৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তরে সরে গেছে এমভি আবদুল্লাহ, নোঙর ফেলেছে গোদোব জিরান উপকূলে
সোমালি জলদস্যুদের হাতে অপহৃত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ বৃহস্পতিবারের (১৪ মার্চ) নোঙর পয়েন্ট থেকে ৪৫-৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তরে সরে গেছে।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শুক্রবার রাত ৮টায় দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'জাহাজটি গতকালের নোঙর পয়েন্ট থেকে প্রায় ৪৫-৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তর দিকে অগ্রসর হয়েছে। এটি গোদোব জিরান উপকূল থেকে প্রায় ৪ মাইল দূরে নোঙর করেছে।'
গোদোব জিরান সোমালিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নুগাল প্রদেশের একটি শহর।
কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড (টিবিএস)-কে বলেন, 'শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জাহাজটি নোঙর তুলে নেয় এবং আগের অবস্থান থেকে সরে যেতে শুরু করে।'
আন্তর্জাতিক মেরিটাইম ব্যুরো জানায়, গতকাল রাত ৮টার দিকে জাহাজটি গারাকাডের কাছে নোঙর করে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের কর্মকর্তারা বলেছেন, জলদস্যুরা এখনও কোনো মুক্তিপণের দাবিতে বাংলাদেশের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
তবে জাহাজ মালিকেরা জানান, জলদস্যুরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করলেও তারা উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
চট্টগ্রামভিত্তিক কবির গ্রুপের (কেএসআরএম) কোম্পানি এসআর শিপিং এর মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।
কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম বৃহস্পতিবার বলেন, 'জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যত দ্রুত সম্ভব নাবিকদের উদ্ধারের জন্য আমরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছি।'
তিনি বলেন, 'তারা (নাবিকেরা) সরাসরি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে বিকল্প যোগাযোগ পদ্ধতি ব্যবহার করে তাদের পরিবারের কাছে বার্তা পাঠাতে পেরেছেন। অপহৃত নাবিকদের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে আমরা জানতে পেরেছি, তারা সবাই ভালো আছেন।'
অন্যদিকে, অপহৃত জাহাজের ক্রুদের উদ্ধার প্রক্রিয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে জরুরি বৈঠক করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সভায় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মোজাম্বিক থেকে ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাইয়ে যাওয়ার পথে গত মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে জলদস্যুদের কবলে পড়ে ২৩ বাংলাদেশি নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।