পরিবেশ বিজ্ঞানী আনিসুজ্জামান খানের প্রয়াণ
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/06/08/194375909_1169246393576300_370610616510755932_n.jpg)
পরিবেশ বিজ্ঞানী, বন্যপ্রানী ও বাস্তুসংস্থান সংরক্ষণ পরিকল্পনাবিদ আনিসুজ্জামান খান আর নেই। সোমবার (৭ জুন) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে একটি বাসে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
চৌদ্দগ্রাম সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, সৌদিয়া পরিবহনের এক কর্মীর ফোন পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে বাসের সিটে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
আনিসুজ্জামান খান সবশেষ যে প্রতিষ্ঠানের মুখ্য বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করতেন সেই ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল আহমেদ টিবিএসকে জানান, প্রতিষ্ঠানের একটি প্রকল্পের কাজে কক্সবাজার ছিলেন আনিসুজ্জামান। সেখান থেকেই ঢাকা ফিরছিলেন। চৌদ্দগ্রাম থানার কাছ থেকে তারা আনিসুজ্জামানের মুত্যূর খবরটি জেনেছেন।
পুলিশ এবং সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, আনিসুজ্জামান হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।
১৯৫৭ সালে ঢাকার ধামরাইয়ের বাল্লিয়া বড় বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন আনিসুজ্জামান। এরপর মানিকগঞ্জ হাই স্কুল অ্যান্ড দেবেন্দ্র কলেজ উচ্চ-মাধ্যমিক পাস করার পর বিএসসি অনার্স ও এমসসি করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
কক্সবাজার- টেকনাফ হাতি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের অধীনে তার বন্য প্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ক কর্মজীবনের সূত্রপাত। এরপর তিনি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচার (আইইউসিএন) ও বিসিএএস এই দুই সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। পরবর্তীকালে তিনি প্রকৃতি সংরক্ষণবাদী আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে নাকোম (ন্যাচার কনজার্ভেশন মুভমেন্ট) নামক একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি দুবাই মিউনিসিপালটিতে চার বছর একজন পরিবেশ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর, আমৃত্যু তিনি ইসাবেলা ফাইন্ডেশনে প্রধান বিজ্ঞানী হিসেবে ছিলেন।
বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ও সংরক্ষণবিদ ড. রেজা খানের ছোট ভাই ছিলেন আনিসুজ্জামান।