গুগল ডুডলে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ১০৫তম জন্মদিন উদযাপন করছে সার্চ ইঞ্জিন গুগল। এ উপলক্ষ্যে একটি ডুডল ডিজাইন করেছে তারা।
বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে গুগলে (www.google.com) গেলে কিংবা সরাসরি (www.google.com.bd) ঠিকানায় ঢুকলে চোখে পড়বে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনকে নিয়ে করা ডুডলটি।
এতে দেখা যাচ্ছে- একটি গাছের নিচে বসে তুলি হাতে ছবি (গুগল লেখা) আঁকছেন জয়নুল আবেদিন। পাশ দিয়ে দ্রুত হেঁটে যাচ্ছে কলস-কাঁধে এক ব্যক্তি। গ্রাম-বাংলার চিরাচরিত রূপ, যা সবসময়ই মুগ্ধ করেছে জয়নুলকে।
ডুডলের ওপর ক্লিক করলে জয়নুল আবেদিনকে নিয়ে গুগলের নানা অনুসন্ধানের ফলও দেখা যাবে।
জয়নুল আবেদিন ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দের ২৯ ডিসেম্বর তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জ মহকুমার কেন্দুয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম তমিজউদ্দিন আহমদ। তিনি ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। তার মায়ের নাম জয়নাবুন্নেছা। তার নয় ভাইবোনের মধ্যে জয়নুল আবেদিন ছিলেন সবার বড়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর সময়ে ১৯৪৩ সালে মহামারী দুর্ভিক্ষ আঘাত হানে বাংলায়। এই দুর্ভিক্ষই জয়নুল আবেদিনকে প্রকৃতি আর নিসর্গ শিল্পী থেকে রূপান্তরিত করে এক বিদ্রোহী শিল্পীতে। বাংলার দুর্ভিক্ষকে কেন্দ্র করে তুলির টানে এঁকে গেছেন একের পর এক দুর্দান্ত ছবি।
বেশি কিছু নয়, কম দামী ক্যানভাস আর বাদামী কাগজে স্রেফ কাঠকয়লা আর কালো কালি দিয়ে ছবিগুলো আঁকা। কিন্তু কি তার ফর্ম! কি তার শক্তি! ‘দুর্ভিক্ষ’ শিরোনামের সেই চিত্রমালার জন্য বিখ্যাত হন এই পথকৃৎ শিল্পী।
আর এই শিল্পীই বলেছিলেন, “এখন তো চারিদিকে রুচির দুর্ভিক্ষ! একটা স্বাধীন দেশে সুচিন্তা আর সুরুচির দুর্ভিক্ষ! এই দুর্ভিক্ষের কোন ছবি হয়না।”
বিশেষ দিন, ঘটনা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা জানাতে বা স্মরণ করতে গুগল নিজেদের হোমপেজে বিশেষ লোগো প্রদর্শন করে। এটা ডুডল হিসেবে পরিচিত। গুগল সার্চের মূল পাতায় প্রদর্শিত লোগোটির নিচে থাকে সার্চ বার।