ঢাবি ছাত্রীকে ধর্ষণ: মজনু ৭ দিনের রিমান্ডে
রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার মজনুকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ওই ছাত্রীর বাবার করা মামলায় বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের হেফাজতের আবেদন করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবু সিদ্দিক।
এদিকে, ঢাবির ওই শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওএসসিসি) চারদিন চিকিৎসা দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদকর্মীদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নিপীড়নের শিকার শিক্ষার্থীকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে। তিনি আগের চেয়ে অনেকটাই সুস্থ।
এক সপ্তাহ পর ওই শিক্ষার্থীকে ফলোআপের জন্য হাসপাতালে আসতে বলা হয়েছে বলেও জানান নাসির উদ্দিন।
গত বুধবার সকালে রাজধানীর ঢাকায় শেওড়া রেলক্রসিং এলাকা থেকে অভিযুক্ত মজনুকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
র্যাবের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার সাংবাদিকদের জানান, মজনু স্বীকার করেছে যে, সে একজন সিরিয়াল রেপিস্ট ও মাদকাসক্ত। নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে ঢাকায় আসা ওই যুবক শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ও ভিক্ষুকদের প্রায়ই ধর্ষণ করতো। সে চুরি-ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত।
র্যাব জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী গত রোববার রাতে রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নেমে ফুটপাত ধরে হাঁটার সময় হঠাৎ তাকে পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে পাশের ঝোপে নিয়ে যায় অভিযুক্ত মজনু। সেখানে মেয়েটিকে সে মারধর করে ও ধর্ষণের পর হত্যার হুমকি দেয়।
ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় তীব্র আন্দোলন হয়। ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান ঢাবি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।