১৯৭৫ সালে ভিয়েতনাম থেকে পালানোর স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে আমেরিকানদের কাবুলত্যাগ
তালেবান গোষ্ঠী ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দিকে। কাবুলের মার্কিন দূতাবাসের কর্মীদের দেশে আনার কাজে সহযোগিতা করার জন্য আফগানিস্তানে ৩ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনা নতুন করে জাগিয়ে তুলেছে ভিয়েতনামের সায়গনে আমেরিকার পতনের স্মৃতিকে।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র কাবুলে জরুরি সেনা সাহায্য পাঠানোর ঘোষণা দেওয়ার পরই একটা ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে। ছবিটিতে দেখা যায়, ভিয়েতনামের একটি ভবনের ছাদ থেকে পলাতক আমেরিকানদের একটা হেলিকপ্টারের সাহায্যে উদ্ধার করা হচ্ছে। ভিয়েতনামে আমেরিকার পরাজয়ের স্মৃতি অমরত্ব পেয়ে গেছে এ ছবির মাধ্যমে।
প্রভাবশালী রিপাবলিকান সিনেটর মিচ ম্যাককনেল বলেছেন, কাবুলের মার্কিন দূতাবাসের কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া এবং তড়িঘড়ি করে সে কাজে সাহায্যের জন্য সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত দেখে মনে হচ্ছে কাবুলের পতনের জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে বাইডেন প্রশাসন।
তিনি বলেন, জো বাইডেনের এই সিদ্ধান্ত আমেরিকার জন্য ১৯৭৫ সালে সায়গনে মার্কিনীদের পতনের চেয়েও বেশি অপমানজনক।
গত জুনে বাইডেন বলেছিলেন তালেবান আগ্রাসনের সঙ্গে সায়গনের কোনো তুলনাই চলে না। সে সময় তিনি বলেছিলেন, 'আফগানিস্তানে মার্কিন দূতাবাসের ছাদ থেকে হেলিকপ্টারে করে মানুষ উদ্ধারের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না।'
ওই মাসেই ইউএস জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান মার্ক মিলে-ও সায়গনের পলায়নের সঙ্গে আফগানিস্তানত্যাগের কোনো তুলনা চলে না বলে দাবি করেন।
তিনি বলেছিলেন, আফগানিস্তানে ১৯৭৫ সালের সায়গনের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা তিনি দেখতে পাচ্ছেন না। মার্ক মিলে আরও বলেন, 'তালেবানরা নর্থ ভিয়েতনামিজ আর্মি নয়। আর আফগানিস্তানের পরিস্থিতিও ওরকম নয়।'
কিন্তু এরপর থেকেই তালেবানের সহিংস আগ্রাসন অনেক আমেরিকান সামরিক কর্মকর্তাকে বিস্মিত করেছে।
কাবুলের মার্কিন দূতাবাসের কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার কাজে সাহায্য করার জন্য ৩ হাজার মার্কিন সেনা বিমানবন্দরে নিরাপত্তা দেবে। ১ হাজার সেনা পাঠানো হবে কাতারে, প্রযুক্তিগত ও লজিস্টিক সহায়তা দেওয়ার জন্য। প্রয়োজনে সাহায্য করার জন্য আরও সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার সেনা স্ট্যান্ডবাই থাকবে কুয়েতে।
- সূত্র: আল জাজিরা