পরীমণির সদস্যপদ স্থগিত করায় শিল্পী সমিতিকে ধুয়ে দিলেন শাকিব খান
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি কর্তৃক পরীমণির সদস্যপদ সাময়িক স্থগিতের সিদ্ধান্তকে 'রহস্যজনক' বলে মন্তব্য করেছেন ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা শাকিব খান।
নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এই অভিনেতা লিখেছেন, 'গত কয়েকদিন ধরে খেয়াল করছি শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে পরীমণি গ্রেপ্তারের পর তার প্রতি কোনো ধরনের সহযোগিতার হাত না বাড়িয়ে, দুঃসময়ে শিল্পীর পাশে না থেকে উল্টো তড়িঘড়ি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। মুহূর্তে পরীমণির সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে! এ যেন কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটে! সমিতির এই আচরণ সত্যিই খুব রহস্যজনক।'
শাকিব খান লেখেন, আগে শিল্পী সমিতি শিল্পীদের বিপদে পাশে থাকলেও সন্দেহজনকভাবে পরীমণির বেলায় উল্টোটা ঘটছে।
তিনি লিখেছেন, 'সহকর্মী হিসেবে যতদূর জানি পরীমণি বাবা-মাহীন। তার বেড়ে ওঠা পারিবারিকভাবে আর পাঁচটা তরুণ-তরুণীর বেড়ে ওঠা, স্ট্রাগলে যথেষ্ট পার্থক্য আছে। হয়তো সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে পরীমণি অনেক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।'
এরপর শাকিব খান লেখেন পরীমণির নানার কথাও। '১০ আগস্ট আদালত চত্বরে পরীমণির শতবর্ষী নানা তার নাতনিকে দেখতে ছুটে গিয়েছিলেন। করোনার এই ভয়াবহতাও আটকাতে পারেনি তার বৃদ্ধ নানাকে, রক্তকে উপেক্ষা করতে পারেনি রক্ত। কিন্তু সময় কী নিষ্ঠুর! পরীমণির সঙ্গে নাকি দেখাই হলো না বৃদ্ধ নানার।'
জনপ্রিয় এই অভিনেতা বলেন, দেশের আইনের প্রতি তার পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে, কিন্তু পরীমণিকে যেভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হেনস্তা করা হচ্ছে এবং মিডিয়া ট্রায়ালে ফেলা হচ্ছে, তা দুঃখজনক।
শাকিব খান ঘটনার পেছনের আসল নাটের গুরুকেও খুঁজে বের করার দাবি জানান। লিখেছেন, 'যারা পরীমণিকে বিপথে নিয়ে গেছে, তাদেরও খুঁজে বের করা উচিত। পরীমণি ৩০টির বেশি সিনেমার সঙ্গে জড়িত বলে জানতে পেরেছি। তার হাতে আছে আরও কয়েকটি সিনেমা। কিন্তু যারা বছরের পর বছর একটি সিনেমাতেও কাজ না করে দিনের পর দিন শিল্পী সাইনবোর্ড ব্যবহার করে বিলাসবহুল জীবন যাপন করছে, তাদের আয়ের উৎসও খুঁজে বের করা উচিত।'
সবশেষে এ অভিনেতা লেখেন, 'সহশিল্পী হিসেবে আশা রাখি, পরীমণির ক্ষেত্রে আইন তার স্বকীয়তা বজায় রাখবে। পরীমণি যখন ফিরবে তার ভুল থেকে শিক্ষাও নেবে। যে শিক্ষা তার আগামী জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।'