বিদেশে টিকা রপ্তানি করতে আশাবাদী বাংলাদেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) নিয়ন্ত্রণে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে টিকা রপ্তানি করতে আশাবাদী স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক।
সোমবার (১৬ আগস্ট) চীনা কোম্পানি সিনোফার্মের সঙ্গে বাংলাদেশি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি ইনসেপ্টার সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, "বাংলাদেশকে ভ্যাকসিনেও স্বয়ংসম্পন্ন করতে চান প্রধানমন্ত্রী। ৮০ শতাংশ মানুষকে দুই ডোজ করে টিকার আওতায় আনতে ২৬ কোটি ডোজ দরকার। সুতরাং আমাদের আরো অনেক ভ্যাকসিন প্রয়োজন।"
তিনি জানান, সরকারিভাবেও ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগ নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চীনের তৈরি সিনোফার্ম টিকা দেশে উৎপাদনের জন্য সোমবার (১৬ আগস্ট) বাংলাদেশ এবং চীনের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
অনুষ্ঠান শেষে স্বাস্থ্য মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, "আমরা আশা করি ৩ মাসের মধ্যে টিকা উৎপাদনে যেতে পারবে ইনসেপ্টা। সময় এর কমও লাগতে পারে আবার একটু বেশিও লাগতে পারে।"
২০১১ সাল থেকেই ভ্যাকসিন তৈরি করে আসছে ইনসেপ্টা। করোনার ভ্যাকসিন উত্পাদনেও যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
বাংলাদেশ সিনোফার্মের দেড় কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কিনেছে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিমাসে ভ্যাকসিন দেশে আসছে। এখন পর্যন্ত দেশে সিনোফার্মের ১ কোটি ২৯ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে এসেছে। এর মধ্যে কেনা ৯১ লাখ, চীনের উপহারের ২১ লাখ ও কোভ্যাক্সের আওতায় দেশে এসেছে। চলমান ভ্যাকসিনেশনের কার্যক্রমের একটি বড় অংশ চলছে সিনোফার্মের ভ্যাকসিন দিয়ে।
সংরক্ষণ সুবিধার কারণে সিনোফার্ম ভ্যাকসিন রাজধানী থেকে ইউনিয়ন পর্যায় সবখানে দেয়া হচ্ছে। দেশে এখন পর্যন্ত সিনোফার্মের অন্তত এক ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছে ৭১ লাখ ৩১ হাজার মানুষ আর দুই ডোজ নিয়েছে ৩৮ লাখ ৮১ হাজার মানুষ।