করোনার মধ্যেও এক বছরে ভ্যাট নিবন্ধন বেড়েছে ৬৯ শতাংশ
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে অর্থনীতির গতি মন্থর হলেও গত এক বছরে ভ্যাটের (ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স) আওতায় এসেছে এক লাখ ১৫ হাজার ৩১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যা আগের বছরের চেয়ে ৬৯ শতাংশ বেশি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
এক বছরে ভ্যাট নিবন্ধনে ভালো প্রবৃদ্ধি দেখা গেলেও দেশের অর্থনীতির আকারের সঙ্গে ভ্যাটের বর্তমান পরিসর এখনো সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে মনে করছেন সরকার এবং অর্থনীতিবিদরা। দেশে এখন সব মিলিয়ে ভ্যাট নিবন্ধন রয়েছে দুই লাখ ৮২ হাজার ২০০ প্রতিষ্ঠানের।
দেশে বর্তমানে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বছরে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক টার্নওভার (বিক্রি) হলে আইন অনুযায়ী তাদের ভ্যাট নিবন্ধন নিতে হয় না। ৫০ লাখের ওপরে তিন কোটি টাকা পর্যন্ত টার্নওভারের ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ হারে মোট বিক্রির ওপর টার্নওভার ট্যাক্স দিতে হয়। চার কোটি টাকার বেশি বিক্রি হলে কিছু ব্যতিক্রম বাদে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট কার্যকর।
২০১৯ সাল থেকে সরকার পুরোপুরি অনলাইন নির্ভর ভ্যাট নিবন্ধন ব্যবস্থা কার্যকর করে। অনলাইনে নিবন্ধন নেওয়া হলেও এখনো অনেকেই ম্যানুয়ালি প্রতি মাসে ভ্যাট রিটার্ন জমা দিচ্ছেন।
এনবিআরের হিসাব অনুযায়ী, দেশের ১১টি ভ্যাট কমিশনারেট সারা দেশে মাঠ পর্যায়ে ভ্যাট ব্যবস্থাপনা দেখভাল করছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভ্যাট নিবন্ধনধারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেট অফিসের অধীনে।
সুত্র জানায়, গত এক বছরে এ অফিসের আওতাধীন ৩৮ হাজারের বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নতুন করে নিবন্ধনের আওতায় এসেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১১২ শতাংশ বেশি।
সবচেয়ে বেশি হারে ভ্যাটের আওতায় আসা এই অফিসের অধীনে রয়েছে ৭২ হাজারের বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
এছাড়া খুলনা ও ঢাকা উত্তর ভ্যাট কমিশনারেট অফিসেও ভ্যাট নিবন্ধনের হার তুলনামূলক বেশি।
এনবিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, জরিপ কার্যক্রম চালানোর মাধ্যমে যাদের ভ্যাটযোগ্য বিক্রয় রয়েছে, কিন্তু ভ্যাটের আওতায় নেই – তাদের বাধ্যতামূলক নিবন্ধনের আওতায় আনা হয়েছে।
ভ্যাট নিবন্ধন দেওয়ার পর প্রতি মাসে ভ্যাট রিটার্ন জমা দিতে হবে, অন্যথায় ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা গুনতে হবে।