বিচারকের সংখ্যা বাড়াতে কাজ করছে আইন ও বিচার বিভাগ: আইনমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে নির্দেশনা দিয়েছেন এবং সে নির্দেশনা মোতাবেক আইন ও বিচার বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার সংসদে নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরণের টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মামলাজট হ্রাস করতে বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রীও বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে নির্দেশনা দিয়েছেন এবং সে নির্দেশনা মোতাবেক আইন ও বিচার বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সব সময় ইতিবাচক ভূমিকা রেখে চলছে।
তিনি আরও বলেন, অধস্তন আদালতে ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মোট ১ হাজার ১২৮ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ১৩তম জুডিসিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা ২০১৯-এর মাধ্যমে ১০০ জন সহকারী জজ নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন কর্তৃক কার্যক্রম শেষ হয়েছে। ২১ মার্চ তারিখে সুপারিশকরা প্রার্থীদের প্রাক পরিচয় যাচাইয়ের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে সুপারিশ-করাদের প্রাক পরিচয় যাচাইয়ের কাজ চলছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ১৪তম বিজেএস পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে আরও ১০০ জন সহকারী জজ নিয়োগের জন্য আইন ও বিচার বিভাগ থেকে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হলে তারই পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে কমিশন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। পুরাতন মামলাগুলো অধিকারভিত্তিক নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগের একটি মনিটরিং সেল কাজ করছে। আদালতের অবকাঠামো উন্নয়নসহ আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল, দরিদ্র ও অসহায় জনগণকে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টসহ ৬৪ জেলায় লিগ্যার এইড অফিস স্থাপন করা হয়েছে। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে মামলাজট কমানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ৩ জন জেলা ও দায়রা জজ বা সমপর্যায়ের বিচারক সদ্য অবসরে যাওয়ায় বর্তমানে দেশের আদালতগুলোর জেলা ও দায়রা জজ বা সমপর্যায়ের ৩টি পদ শূন্য রয়েছে। পদোন্নতিজনিত কারণে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বা সমপর্যায়ের একটি, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ বা সমপর্যায়ের ৫৬ পদ এবং সহকারী জজ বা সিনিয়র সহকারী জজের সমপর্যায়ের ২২ পদ শূন্য রয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বিচারকদের জন্য নতুন পদ সৃজনে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৪৭ নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল, ২টি সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, ৭টি সাইবার ট্রাইব্যুনাল, ৭টি মানব পাচার অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।