আরেকটি হারে খাদের কিনারে রাজস্থান, অনুজ্জ্বল মুস্তাফিজ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এগিয়ে আসছে, আর মুস্তাফিজুর রহমান যেন নিজেকে হারিয়ে ফেলছেন। আগের ম্যাচে ৪ ওভারে ৫১ রান খরচায় উইকেটশূন্য ছিলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি এই পেসার। মঙ্গলবার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষেও অনুজ্জ্বল থেকে গেলেন মুস্তাফিজ। একটি উইকেট পেলেও রাজস্থানের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান খরচা করেছেন তিনি।
আইপিএলের প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকার কঠিন লড়াইয়ে মুম্বাইয়ের মুখোমুখি হয় রাজস্থান। শারজাহতে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে রাজস্থানকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে রোহিত শর্মার দল। এই জয়ে মুম্বাইয়ের প্লে-অফের পথ কিছুটা সহজ হলো। কিন্তু রাজস্থান চলে গেল খাদের কিনারে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জিতলেও হবে না, অন্য ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে তাদের।
মুম্বাইয়ের বিপক্ষে সামান্যতম লড়াইও করতে পারেনি রাজস্থান। টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ৯০ রানেই থামে তাদের ইনিংস। দলের চারজন ব্যাটসম্যান কেবল দুই অঙ্কের রান করেন। সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন ওপেনার এভিন লুইস। এদিন ব্যাট হাতে নামতে হয় মুস্তাফিজকেও। বাংলাদেশ পেসার ৭ বলে একটি ছক্কায় ৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
জবাবে দাপুটে শুরু করা মুম্বাই দুই উইকেট হারিয়ে ৮.২ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। অধিনায়ক রোহিত শর্মা ২২ রান করে আউট হন। ঝড়ো ইনিংস খেলেন ইষান কিষান। বাঁহাতি উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান মাত্র ২৫ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন।
মুস্তাফিজ এদিন নিজের স্বভাবসুলভ বোলিং করতে পারেননি। প্রথম ওভারে তার খরচা ১৪ রান। দ্বিতীয় ওভারে কিছুটা ভালো বোলিং করেন তিনি। ৯ রান খরচায় নেন সূর্যকুমার যাদবের উইকেট। কিন্তু নিজের করা তৃতীয় ওভারের প্রথম দুই বলে একটি চার ও একটি ছক্কা হজম করতে হয় তাকে। ২.২ ওভারে ৩২ রানে মুস্তাফিজের শিকার একটি উইকেট। এদিন ১৩.৭১ ইকোনমিতে সবচেয়ে বেশি রান খরচা করেছেন তিনি।
এই জয়ে মুম্বাই পয়েন্ট টেবিলে এগিয়েছে। ১৩ ম্যাচে ৬ চয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার পাঁচ নম্বরে আছে পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা। সমান ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে রাজস্থান। শেষ ম্যাচে কলকাতার বিপক্ষে জিতলেও তাদের পয়েন্ট হবে ১২। যা ইতোমধ্যে মুম্বাই ও কলকাতার আছে। এই দুই দল জিততে রাজস্থানের প্লে-অফ খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাবে। রেসে আছে পাঞ্জাব কিংসও, ১৩ ম্যাচে ৫ জয়ে তাদের পয়েন্টও ১০।