রাজনৈতিক বিভাজনের ফসল ট্রাম্পের ঘরে
২০২০ সাল যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনী বছর। আগামী ৩ নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে নিজ দল রিপাবলিকান দলের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তাই রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনেট সদস্যরা ডেমোক্র্যাট সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধি পরিষদের বিরোধিতা করে ট্রাম্পের অভিশংসন প্রক্রিয়া বাতিল করেছেন।
গত বুধবার রাতে সিনেট সদস্যরা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা দুটি প্রস্তাবে ভোট দেন। এসময় প্রেসিডেন্ট সাংবিধানিক ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এমন প্রস্তাব পাসের বিরুদ্ধে ভোট পড়ে ৫২টি আর পক্ষে ৪৮টি। আর কংগ্রেসের তদন্তে বাঁধা ও অসহযোগিতার অভিযোগ ৫৩-৪৭ এর বড় ব্যবধানে বাতিল হয়ে যায়।
এই ভোটে হেরে গেলে ইতিহাসের তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিশংসনের মুখে পড়তেন ট্রাম্প। তবে দলীয় বিবেচনার কাছে রাজনৈতিক শালীনতা ভঙ্গ এবারের মার্কিন নির্বাচনী রাজনীতির প্রধান প্রবণতায় পরিণত হয়েছে। চলতি সপ্তাহে ট্রাম্পের জাতির উদ্দেশ্যে বার্ষিক ভাষণ এবং বুধবারের সিনেট ভোট সেদিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। খবর সিএনএন ও হিন্দুস্তান টাইমসের।
এদিকে, আনীত দুটি প্রস্তাব পাস হতে কমপক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দরকার ছিল। এমনটা হলে মার্কিন রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে সাংবিধানিক ক্ষমতার অপব্যবহারের মতো শীর্ষ অপরাধের দায়ে তাকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা যেতো।
ইতোপূর্বে ইউক্রেনকে দেওয়া সামরিক সাহায্য বাতিল করার চাপ দিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের অভিযোগ ওঠে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার ফোনালাপ এক মার্কিন গোয়েন্দা ফাঁস করে দিলে, মার্কিন কংগ্রেস অভিশংসন তদন্ত শুরু করে। ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কির প্রতি মার্কিন সামরিক সহায়তার শর্ত হিসেবে ডেমোক্র্যাট সিনেটর জো বাইডেনের ছেলে হান্টারের বিরুদ্ধে একটি কথিত দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের জন্য চাপ দেন।
এরপরই রিপাবলিকানদের বিরোধিতা স্বত্বেও গত ১৮ ডিসেম্বর ট্রাম্পের অভিশংসন প্রস্তাব পাস করে প্রতিনিধি পরিষদ বা কংগ্রেস। তবে ক্ষমতা থেকে অপসারণের জন্য পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের অনুমোদন আবশ্যক ছিল। বুধবার সেই প্রক্রিয়াকেই বাতিল করেছে দেশটির সিনেট।