মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টের ট্রাম্পকে পাল্টা তিরস্কার: মেক্সিকান আমেরিকা 'আরও সুন্দর শোনায়'
সম্প্রতি মেক্সিকো উপসাগরের নাম বদলে 'গালফ অভ আমেরিকা' রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর জবাবে পাল্টা উত্তর আমেরিকার নতুন নামকরণের প্রস্তাব রেখেছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শাইনবম।
দৈনিক প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় একটি বিশ্ব মানচিত্রের সামনে দাঁড়িয়ে শাইনবম খানিকটা রসিকতার প্রস্তাব দেন, এ মহাদেশের নাম রাখা উচিত 'আমেরিকা মেক্সিকানা', বা 'মেক্সিকান আমেরিকা'। কারণ ১৮১৪ সালের একটি নথিতে—যা মেক্সিকোর সংবিধানের পূর্বসূরি ছিল—ব্যবহার করা হয়েছিল এই নাম।
'নামটা বেশ সুন্দর শোনাচ্ছে, তাই না?' উত্তর আমেরিকার নতুন নাম প্রস্তাব করে ব্যঙ্গের সুরে বলেন শাইনবম।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উপসাগরীয় উপকূল, মেক্সিকোর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো এবং কিউবা দ্বীপে বেষ্টিত অঞ্চলটি ১৬০৭ সাল থেকেই মেক্সিকো উপসাগর নামে পরিচিত।
আগামী ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ গ্রহণের আগে মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেন, তিনি মেক্সিকো উপসাগরের নাম গালফ অভ আমেরিকা রাখতে চান; কারণ 'এই নামটি শুনতে চমৎকার লাগে।'
ট্রাম্প আরও দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণের প্রতিবেশী মেক্সিকো চালায় মাদক চক্র। শাইনবম এই দাবির জবাবে বলেছেন: 'মেক্সিকোতে জনগণ শাসন করে।'
এই কথা চালাচলি দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে একটি বড় প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে: ট্রাম্পের কঠোর কূটনৈতিক মনোভাব এবং অভিবাসন, মাদক ও বাণিজ্য-সংক্রান্ত কঠিন চাপ কীভাবে মোকাবিলা করবেন সদ্য নির্বাচিত শাইনবম?
শাইনবমের পূর্বসূরি এবং রাজনৈতিক পরামর্শদাতা আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর (আমলো) ট্রাম্পের সঙ্গে মৈত্রী স্থাপন করতে পেরেছিলেন। তার সরকার যুক্তরাষ্ট্রের চাপে উত্তরে অভিবাসন রোধে কাজ শুরু করেছিল, যা ট্রাম্পের জন্য সহায়ক হয়েছিল।
তবে বিজ্ঞানী ও বামপন্থি নেতা এবং মেক্সিকোর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট শাইনবম একই ধরনের সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন কি না, তা নিশ্চিত নয়।
এদিকে তার বুধবারের রসিকতা দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
শাইনবম এর আগেও ট্রাম্পের বিভিন্ন প্রস্তাবের ব্যাপারে কঠোর কিন্তু সহযোগিতামূলক জবাব দিয়েছেন।
মেক্সিকোর পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপে ট্রাম্পের প্রস্তাবের বিষয়ে শাইনবম বলেন, নতুন মার্কিন প্রশাসন যদি মেক্সিকোর ওপর শুল্ক আরোপ করে, তাহলে তার সরকার পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।
অভিবাসনের বিষয়ে অবশ্য তিনি কিছুটা সমঝোতার সুরে কথা বলেছেন।