বাক স্বাধীনতার লড়াইয়ে শান্তিতে নোবেল পেলেন দুই সাংবাদিক
বাক স্বাধীনতার লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এবার শান্তিতে যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন ফিলিপিনো-আমেরিকান সাংবাদিক ও লেখক মারিয়া রেসা এবং রাশিয়ান সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভ।
শুক্রবার (৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টার দিকে নোবেল কমিটি এ ঘোষণা দেয়।
নোবেল কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়, 'বাক স্বাধীনতা হলো গণতন্ত্র ও টেকসই শান্তির পূর্বশর্ত। আর এটি রক্ষাকবচ তৈরিতে অবদান রাখার জন্য' এই দুই সাংবাদিককে এ সম্মান জানানো হলো।
মারিয়া রেসার জন্ম ১৯৬৩ সালের ২ অক্টোবর, ফিলিপাইনের ম্যানিলায়। তিনি ম্যানিলাভিত্তিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম 'র্যাপলার'-এর যুগ্ম-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। এর আগে প্রায় দুই দশক সিএনএন-এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রধান অনুসন্ধানী প্রতিবেদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
গত বছর ফিলিপাইনের বিতর্কিত সাইবারক্রাইমবিরোধী আইনে তাকে অভিযুক্ত করা হয়। বলা বাহুল্য, এ আইনকে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর একটি 'আক্রমণ' হিসেবে গণ্য করেন মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিকরা।
মারিয়ার লেখা বইয়ের মধ্যে রয়েছে "সিডস অব টেরর: অ্যান আইউইটনেস অ্যাকাউন্ট অব আল-কায়েদা'স নিউয়েস্ট সেন্টার' (২০০৩) ও 'ফ্রম বিন লাদেন টু ফেসবুক: ১০ ডেজ অব অ্যাবডাকশন, ১০ ইয়ারস অব টেরোরিজম' (২০১৩)।
অন্যদিকে, দিমিত্রি মুরাতভের জন্ম ১৯৬১ সালে, রাশিয়ার সামারায়। তিনি নিজ দেশের সংবাদপত্র 'নোভায়া গাজেতা'র প্রধান সম্পাদক। এর আগে, ১৯৯৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এ পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
বলে রাখা ভালো, 'কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস'-এর ভাষ্যমতে, 'নোভোয়া গাজেতা'ই বর্তমান সময়ে 'রাশিয়ার একমাত্র সত্যিকারের সমালোচনামূলক সংবাদপত্র।'
এছাড়া, ২০১৭ সালে দিমিত্রিকে 'ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ড'-এ ভূষিত করে 'কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস'। যেকোনো আক্রমণ, হুমকি, এমনকি কারাবরণ সহ্য করেও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার লড়াই চালিয়ে যাওয়া সাংবাদিকদের সাহসিকতার জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়।