মরতে মরতে বেঁচে গেছি : জাস্টিন বিবার
মাদক নিয়ে মুখ খুললেন কানাডিয়ান সুপারস্টার জাস্টিন বিবার। ইউটিউব ডকু-সিরিজের শুটিংকালে নিজের অন্ধকার অতীত প্রকাশ করেছেন কোটি শ্রোতার এই প্রিয় গায়ক।
১০ পর্বের ডকু-সিরিজ 'জাস্টিন বিবার : সিজনস'-এর সাম্প্রতিক এপিসোড 'দ্য ডার্ক সিজন'-এর শুটিংয়ে বিবার জানান, মাদকের কারণে এক সময় মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন। শুটিংয়ে নিজের জন্মশহর স্ট্র্যাটফোর্ডে হাজির হয়ে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন ২৫ বছর বয়সী বিবার। সেখানে ছোটবেলায় তিনি ছিলেন স্ট্রিট পারফরমার। স্ট্র্যাটফোর্ডেই ১২-১৩ বছর বয়সে গাঁজার হাত ধরে মাদকের অন্ধকার জগতে পা বাড়ান তিনি। খবর সিএনএনের।
বিবার অকপটে স্বীকার করেন, খুব অল্পবয়সে দুনিয়াজুড়ে খ্যাতি ও অঢেল অর্থ উপার্জনের ফলে মাথা বিগড়ে গিয়েছিল তার। ধীরে ধীরে একাধিক ধরনের মারাত্মক মাদকে তিনি আসক্ত হয়ে পড়েন। এই পপস্টার দুঃখ করে জানান, সে সময়ে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির কেউই তাকে এ পথ থেকে সরানোর চেষ্টা করেনি। এজন্য নিজের উগ্র ব্যবহারকেও দোষারোপ করেছেন তিনি।
স্মৃতিচারণায় বিবার জানান, একদিন খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন, মারাই যাচ্ছেন। ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীও সেদিন তার রুমে এসে নাড়ি পরীক্ষা করে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। বিবারের অবস্থা এতই শোচনীয় ছিল, বাঁচার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন এক রকম।
সে যাত্রায় বেঁচে যাওয়ার পর নিজেকে মাদকের পথ থেকে সরিয়ে এনেছেন বলে দাবী করেছেন তিনি। বলেছেন, 'অতীতে নিজের শরীরের ওপর অনেক অত্যাচার করেছি। আর নয়। নিজেকেই কথা দিয়েছি, ভালো হয়ে যাব। একজন ভালো স্বামী, ভালো বাবা, ভালো বন্ধু আমাকে হতেই হবে। তাই এখন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় আছি।'