চাকরি করেও দরিদ্র যুক্তরাজ্যের এক-পঞ্চমাংশ নাগরিক
চাকরির সংখ্যা বাড়লেও তাতে যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান খুব একটা উন্নত হয়নি। বিশেষ করে, দৈনন্দিন জীবন নির্বাহের ব্যয় বাড়ার কারণে দেশটির এক-পঞ্চমাংশ মানুষ কাজের সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও দারিদ্র্যের চাপ মোকাবেলা করছেন।
শুক্রবার দেশটির বেসরকারি একটি সমাজকল্যাণ সংস্থা জোসেফ রেইনট্রি ফাউন্ডেশন (জেআরএফ) প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। খবর গার্ডিয়ান ও টেলিগ্রাফের।
প্রতিবেদনে প্রকাশ, পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কাজের সুযোগ দারিদ্র্যের ঝুঁকি কমায় বটে, কিন্তু তারপরও ২০১৮ সাল নাগাদ দেশটির ৫৬ শতাংশ কর্মজীবী গৃহস্থালি দারিদ্র্যের শিকার হয়েছে। ২০ বছর আগে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৯ শতাংশ।
এর প্রধান কারণ অধিকাংশক্ষেত্রেই কর্মজীবীদের জন্য ঘণ্টা অনুসারে কাজের মজুরি সন্তোষজনক অবস্থানে নেই। আর জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ায় সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে পেনসনজীবীদের। এসব পরিবারের শিশুরাও তাই নানা অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠছেন।
বর্তমানে যুক্তরাজ্যে মোট ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ দারিদ্র্য কবলিত। এদের মধ্যে অবসরভাতা ভোগী ২০ লাখ এবং ৪০ লাখ শিশু রয়েছেন। আর গত পাঁচ বছরে চার লাখ শিশু এবং তিন লাখ অবসরভাতা ভোগী নতুন করে দারিদ্র্য তালিকায় যুক্ত হয়েছেন।
দারিদ্র্য সবচেয়ে বেশি লন্ডন, উত্তর ইংল্যান্ড, মিডল্যান্ড এবং ওয়েলসে। আর সবচেয়ে কম দক্ষিণের স্কটল্যান্ড এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডে।