ঈদে মিলাদুন্নবীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম নগরে তীব্র যানজট
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। রাস্তায় নেমে চরম দুর্ভোগের মুখোমুখি হচ্ছে নগরবাসী।
বুধবার (২০ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৯টায় নগরের মুরাদপুর আলমগীর খানকাহ্-এ-কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে বের হয় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর (সা.) শোভাযাত্রা 'জশনে জুলুস'।
নগরের বিবিরহাট, মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট ঘুরে পুনরায় বিবিরহাট হয়ে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা সংলগ্ন ময়দানে শোভাযাত্রাটি শেষ হয়। কিন্তু এ জুলুসকে কেন্দ্র করে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ ও তাদের পরিবহনকারী গাড়িতে সারা শহরে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে।
এর সঙ্গে ভোগান্তি বাড়িয়েছে উন্নয়ন কাজে ধীরগতি, সমন্বয়হীন খোঁড়াখুড়ি এবং বর্ষা ও জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের নাজুক পরিস্থিতি।
বুধবার ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকলেও জরুরি কাজে রাস্তায় বের হওয়া নগরবাসী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতরা সকাল থেকে কর্মস্থলে যেতে দারুণ ভোগান্তি পোহান। শোভাযাত্রা শেষ হওয়ার পরেও বেলা ১২টা পর্যন্ত নগরীর প্রধান সড়ক পতেঙ্গা থেকে আগ্রাবাদ হয়ে সিডিএ অ্যাভিনিউ এবং মুরাদপুর, বহদ্দারহাট থেকে কালুরঘাট এবং ষোলশহর থেকে বায়েজিদ বোস্তামি সড়ক হয়ে অক্সিজেন মোড়, বহদ্দারহাট হয়ে কালামিয়া বাজার থেকে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু ও চকবাজার থেকে পলিটেকনিক, জিইসি, ২ নং গেইট পর্যন্ত এলাকা যানজটে স্থবির হয়ে পড়ে।
দোকান কর্মচারী রুবেল হোসেন বলেন, "বন্ধের দিন হলেও দোকান বন্ধ রাখার কোনো সুযোগ নেই। বহদ্দারহাট থেকে নিউমার্কেট যেতে আড়াই ঘন্টা অপেক্ষা করেও কোনো গাড়ি পাইনি। জুলুসের কারণে অধিকাংশ গাড়ি হয় ভাড়া হয়ে গেছে, নয়তো যানজটে আটকে আছে।"
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) আলী হোসেন বলেন, "জশনে জুলুস শোভাযাত্রার কারণে এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের পরিস্থিতি ঠিক করতে পুলিশ কাজ করছে।"
এছাড়াও জুলুসকে ঘিরে ষোলশহর, বায়েজিদ বোস্তামি সড়ক ও মুরাদপুরে সড়কের উপরেই বিভিন্ন রকমারি পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এতেও যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
আনজুমান ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, "জনদুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে এবার জুলুসের রুট সীমিত করা হয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রামের বাইরের মানুষকে জুলুসে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। তারপরও ব্যাপক উৎসাহে মানুষ যোগ দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্স, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন স্বেচ্ছায় যানজট নিরসনে দায়িত্ব পালন করছে।"