দিল্লিতে জামানত হারালেন কংগ্রেসের ৬৩ প্রার্থী
২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে একটি আসনও পায়নি দিল্লির একসময়কার প্রভাবশালী দল কংগ্রেস। এর পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও কংগ্রেসের ভোট খরা কাটেনি।
এবারও দিল্লি বিধানসভার ৭০ আসনের কোনোটি পুনরুদ্ধার করতে পারেনি কংগ্রেস। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে জামানত হারালেন তাদের ৬৩ প্রার্থী।
বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) বরাত দিয়ে লাইভমিন্টের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৫ শতাংশেরও কম ভোট পায় কংগ্রেস, যাতে জামানত বাজেয়াপ্ত হয় ৬৩ প্রার্থীর।
দলটির ৬৬ প্রার্থীর মধ্যে মাত্র তিনজন জামানত রক্ষা করতে পেরেছেন। তারা হলেন গান্ধীনগরের অরবিন্দর সিং লাভলী, বাদলির দেবেন্দর যাদব ও কস্তুর্বা নগরের অভিষেক দত্ত।
কোনো একটি আসনে পড়া মোট ভোটের ছয় ভাগের এক ভাগ না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। কংগ্রেসের বেশিরভাগ প্রার্থী ৫ শতাংশের কম ভোট পান।
এমনকি কালকাজি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা দিল্লি কংগ্রেসের প্রধান সুভাষ চোপড়ার মেয়ে শিবানি চোপড়াও জামানত রক্ষা করতে পারেননি। অথচ ১৯৯৮ সালের ৪ ডিসেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা তিন মেয়াদে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কংগ্রেসের শিলা দীক্ষিত।
২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নতুন দল আম আদমি পার্টি (এএপি) হানা দেয় তার দুর্গে। সেবার ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় তারা ২৮টি আসন পেয়ে কংগ্রেসকে তৃতীয় বানায়।
ওই নির্বাচনে সর্বাধিক ৩১ আসন পেয়েও সরকার গঠন করতে পারেনি বিজেপি। কংগ্রেস আট আসন পেয়ে এএপিকে সমর্থন দেয়, যাতে সরকার গঠন করে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই থেকে দিল্লির মসনদের একচ্ছত্র অধিপতি তিনি।
২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৭০ আসনের ৬৭টিই পায় এএপি। বিপরীতে বিজেপি পায় মাত্র তিনটি আসন।
নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ), কাশ্মীর দ্বিখণ্ডিত করাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উত্তাল ভারতে অনুষ্ঠিত এবারের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনেও জয়রথ থামেনি এএপির। দলটি এবার পেয়েছে ৬২ আসন। বিপরীতে কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি আটটি আসন নিয়ে শূন্য হাতে বাড়ি ফিরিয়েছে কংগ্রেসের প্রার্থীদের।