দুই হাজার বছর প্রাচীন পম্পেই নগরীতে ক্রীতদাসের বাসস্থান আবিষ্কার
প্রাচীন রোমান শহর পম্পেইয়ের ঠিক বাইরে অবস্থিত এক ভিলায় দাসদের কক্ষ আবিষ্কার করেছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
কক্ষে থাকা শয্যা এবং অন্যান্য বস্তুর মাধ্যমে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে সমাহিত শহরটিতে দাসদের জীবনযাত্রা কেমন ছিল তার কিছুটা ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।
এই কক্ষে তিনটি কাঠের বিছানা, মাটির ঘড়া, সিরামিকের কলস এবং একটি চেম্বারের পাত্রসহ অন্যান্য বস্তু পাওয়া গেছে।
এ আবিষ্কার সম্বন্ধে ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রী দারিও ফ্রান্সচিনি বলেন, "এই নতুন গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারটি প্রাচীন পম্পেয়ানদের দৈনন্দিন জীবন সম্পর্কে আমাদের জানাশোনাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। বিশেষ করে সমাজের এই শ্রেণি সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান এখনও খুব কম।"
প্রাচীন রোমে দাসদের সম্পত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হত। তাদেরকে আইনিভাবেও ব্যক্তির মর্যাদা দেওয়া হতো না।
প্রাচীন পম্পেইয়ের দেয়াল থেকে প্রায় ২,৩০০ ফুট উত্তরে সিভিটা গিউলিয়ানার একটি প্রাচীন ভিলার আস্তাবলের কাছেই পাওয়া গেছে এই "দাসদের ঘর"।
দাসদের শয্যার উপরে একটি কাঠের বাক্স পাওয়া গেছে, যার ভিতর কাপড়ের তৈরি ও ধাতব জিনিসপত্র খুঁজে পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। ধারণা করা হচ্ছে ঘোড়ার গাড়ির কাজে ব্যবহৃত হতো এসব সরঞ্জামাদি।
দাসদের কক্ষে পাওয়া দুটি শয্যার দৈর্ঘ্য ৫.৬ ফুট, অপরটির ৪.৬ ফুট। ধারণা করা হচ্ছে, একটি ছোট দাস পরিবারের জন্য বরাদ্দ ছিল এ কক্ষ।
উপরের দিকে একটি ছোট জানালাযুক্ত ১৭২ বর্গফুটের এই কক্ষ গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত হতো বলেও ধারণা করছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। কেননা, কক্ষের কোণায় কোণায় আটটি মাটির ঘড়া খুঁজে পেয়েছেন তারা।
নেপলস থেকে ১৪ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত পম্পেই রোমান সভ্যতার একটি প্রসিদ্ধ নগরী ছিল। ৭৯ খ্রিস্টাব্দে ১৩০০ নাগরিকসহ পারমাণবিক বোমার সমতুল্য একটি অগ্ন্যুৎপাতের নিচে চাপা পড়ে নগরীটি।
ষোড়শ শতকে আবিষ্কৃত এই শহরে সাম্প্রতিক সময়ে প্রচুর প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণাকাজ পরিচালিত হচ্ছে।
সূত্র: সিএনএন।