একই প্যাকেজ কিনলে মিলবে অব্যবহৃত ডেটা
মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অব্যবহৃত ডেটা ফেরত পাবেন মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা। তবে সেজন্য ডেটার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ওই একই প্যাকেজ ফের কিনতে হবে। নতুন প্রণয়ন করা এক নির্দেশনায় এ কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রণয়ন করা নতুন এই নির্দেশনার কথা জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
নির্দেশনাটিতে বলা হয়েছে, মাসিক ব্যবহার ও খরচের তথ্য শর্ট মেসেজ সার্ভিস (এসএমএস) এবং অপারেটরের বিলিং পোর্টালের মাধ্যমে গ্রাহকদের জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মোবাইল অপারেটরগুলোকে।
এছাড়াও গ্রাহকরা যদি অপারেটরের অ্যাপ, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম বা চ্যানেলের মাধ্যমে ডেটা প্যাক কেনেন, তাহলে তাদেরকে বোনাস দিতে পারবে মোবাইল অপারেটরগুলো। তবে বোনাসসহ প্যাকেজের মূল্য প্যাকেজের অপারেটরের মোট খরচের চেয়ে কম হতে পারবে না।
তবে অপারেটর চাইলে বিনামূল্যে বা ফ্লোর প্রাইস রেটে ডেটা দিতে পারবে।
প্যাকেজ সংক্রান্ত প্রচারণামূলক এসএমএস পাঠানোর সীমাও নির্ধারণ করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক কমিশন। এখন থেকে মোবাইল অপারেটগুলো একদিনে মাত্র তিনটি প্রচারণামূলক এসএমএস পাঠাতে পারবে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, 'মানুষের সেবা করতে হলে তাদের প্রয়োজনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তা না হলে কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে পারবে না।'
নতুন গাইডলাইনে তিন ধরনের প্যাকেজের আওতায় ৮৫টি প্যাকেজ থাকবে। তিন ধরনের প্যাকেজগুলো হচ্ছে—নিয়মিত প্যাকেজ, গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ, এবং রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজ ।
আর সমস্ত প্যাকেজের সময়কাল হবে চার ধরনের—৩ দিন, ৭ দিন, ১৫ দিন ও ৩০ দিন।
টেক্সট-ওনলি ফেসবুক ও ডিসকভার চালু করল গ্রামীণফোন
ইন্টারনেট না থাকলেও গ্রামীণফোনের গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্নভাবে সংযুক্ত রাখতে মেটার সাথে পার্টনারশিপে টেক্সট-ওনলি ফেসবুক ও ডিসকভার চালু করেল দেশের বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন।
এই পণ্যগুলোর সাহায্যে কানেক্টিভিটি ও অ্যাকসেসিবিলিটি নিশ্চিতের মাধ্যমে গ্রামীণফোন বাংলাদেশে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিতে সহায়তা করবে এবং দেশের ডিজিটাল লক্ষ্য পূরণের যাত্রাকে আরও বেগবান করবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার মঙ্গলবার বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে টেক্সট-ওনলি ফেসবুক ও ডিসকভার উদ্বোধন করেন।
ওয়েবসাইট ও অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডিসকভার গ্রামীণফোন গ্রাহকদের ডেটা চার্জ ছাড়াই দৈনিক ১৫ মেগাবাইট ব্যালেন্স ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্রাউজ করার সুযোগ দেবে। এছাড়াও ডিসকভার শুধু লো-ব্যান্ডউইথ ফিচার সমর্থন করে। যেমন, ডিসকভারের ফ্রি ডেটা দিয়ে বার্তা ও আইকন দেখা যাবে।
বর্তমানে ব্যবহারকারীরা মোবাইল ডেটা বা ব্যান্ডউইথ সংযোগ ছাড়া অনলাইন বার্তা পাঠাতে পারেন না।
টেক্সট-ওনলি ফেসবুক ও ডিসকভার উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান এবং মেটা ও মোবাইল অপারেটরগুলোর প্রতিনিধিরা।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, 'আমি দেখেছি করোনার সময় মোবাইল সেবাদাতারা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যের বাইরে এসে সম্মিলিতভাবে সমাজের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। কানেক্টিভিটি নিশ্চিত করার মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক কার্যক্রম চালু রাখতে সহায়তা করছে। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।'
তিনি আরও বলেন, 'ইন্টারনেট ছাড়া ফেসবুক ব্যবহার একটি অসাধারণ উদ্যোগ। প্রান্তিক জনগনের তথ্য আদান-প্রদান এবং কানেক্টিভিটি নিশ্চিত করে ডিজিটাল বিভাজন কমাতে এটি সহায়তা করবে।'