যৌথ ভ্রাম্যমাণ আদালত চালু থাকার পরও যাত্রীদের দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া
বাস যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং পরিবহন সমিতির সদস্যদের নিয়ে গঠিত যৌথ ভ্রাম্যমাণ আদালত আজ থেকে অভিযান চালানো শুরু করেছে।
তবে এর আগে সোমবার থেকেই বিআরটিএ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আসছে।
কিন্তু এতেও লাভ হচ্ছে না। আজ বৃহস্পতিবারও বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখা গেছে সরকারি নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের চিত্র। তাছাড়া সিএনজিচালিত বাসগুলো থেকেও একই ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
বেশি ভাড়া আদায়কারী বাসগুলোর মধ্যে রয়েছে পূর্বস্থান পরিবহন, অভিজাত পরিবহন, রাজশাহী পরিবহন, প্রজাপতি পরিবহন, আশিস পরিবহন, নূর-ই-মক্কা, লাব্বায়িক, এমএম লাভলী, স্বাধীন পরিবহন।
তবে বিভিন্ন গাড়ির কন্ডাক্টররা অভিযোগ করছেন, অনেক যাত্রীও তাদেরকে সরকারি ভাড়ার চেয়ে কম দিচ্ছেন।
মোহাম্মদ কিরণ নামের সেফটি বাসের একজন হেল্পার বলেন, আমাদের গাড়ি মিরপুর ১২ থেকে ঢাকেশ্বরী মন্দির পর্যন্ত চলে, যার বর্তমান ভাড়া ৩২ টাকা। কিন্তু যাত্রীরা দিচ্ছে ৩০ টাকা। একই রুটে চলা মিরপুর লিংকের হেল্পার মো মামুনও একই অভিযোগ করেন।
সিএনজি চালিত বাসের সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, এই রুটে মিরপুর লিংক ও সেফটি কোম্পানির পঞ্চাশটি বাস চলে। তার মধ্যে মাত্র চারটি বাস সিএনজি চালিত।
সুপারভাইজার আলী আহমেদ বলেন, "সেই চারটি বাসও আমরা বন্ধ রেখেছি। মালিকরা এই চারটি বাসকে পরিবর্তন করে ডিজেলে নিয়ে আসার চিন্তা করছে। কারণ সিএনজি-চালিত বাস দ্রুত নষ্ট হয়।"
সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া নেওয়া সিএনজিচালিত বাসের মধ্যে রয়েছে যাত্রাবাড়ী-মিরপুর রুটের শিখর পরিবহন।
এছাড়া সরকার ভাড়া চার্ট ঝোলানো বাধ্যবাধকতা করলেও বিকল্প পরিবহনের একটি বাসে ভাড়ার চার্ট ঝুলাতে দেখা যায়নি। সিএনজিতে চললেও গাড়িটি সরকার নির্ধারিত বর্তমান ভাড়ার চেয়েও বেশি ভাড়া নিতে দেখা যায়।