দিল্লিতে ‘ফিরে এলেন নায়ক-২’
২০০১ সালের ভারতীয় ‘নায়ক’ সিনেমার কাহিনী আমাদের মনে আছে কি? অনিল কাপুর একদিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন। একদিনেই তিনি রাজ্যে চলতে থাকা দুর্নীতিকে থামিয়ে দিয়েছিলেন।
আর তার সততা আর কাজে মুগ্ধ জনগণ দাবি তোলে বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে হবে অনিল কাপুরকে। হতে হবে জনগনের নায়ক। এভাবেই সিনেমার গল্প এগোতে থাকে।
আর বাস্তবের সেই নায়ককেই যেন ফিরে পেল দিল্লিবাসী। তিনি আর কেউ নন, আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
রোববার দিল্লির রামলীলা ময়দানে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই পরিস্থিতিতে ‘কমন ম্যান' কেজরিওয়ালের পোস্টারে ছেয়ে গেছে দিল্লি।
তেমনই এক ব্যানারে দেখা যাচ্ছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও অভিনেতা অনিল কাপুরকে। সেই ব্যানারের ক্যাপশন ‘ফিরে এলেন নায়ক ২'। ব্যানারের বামদিকে অনিল কাপুরকে দেখা যাচ্ছে কালো স্যুট পরিহিত অবস্থায়। ডানদিকে সাদা টুপি পরিহিত হাসি মুখে কেজরিওয়াল। ২০০১ সালের হিন্দি ছবি ‘নায়ক'-এর সঙ্গে মিল রয়েছে এই পোস্টারের। সেই ছবিতে একদিনের মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন অনিল কাপুর।
১৯৯৯ সালের তামিল ছবি ‘মুধালভান'-র রিমেক ছিল ‘নায়ক'। সেই ছবির সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই ওই ব্যানার বানানো হয়েছে।
২০২০ সালের দিল্লি নির্বাচনে ৭০টি আসনের ৬২টিতে জয়লাভ করেছে আপ। বিজেপি পায় আটটি আসন। ২০১৫ সালের ফলাফলের কাছাকাছিই ফল হয়েছে এবারও।
রোববারের শপথগ্রহণে উপস্থিত থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দিল্লির সাত বিজেপি সাংসদ ও নবনির্বাচিত আট বিধায়ককে আমন্ত্রণ জানানো হয়। যদিও প্রধানমন্ত্রীর এদিন বারাণসীতে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা। তাই মনে করা হচ্ছে, তিনি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকবেন না।
পুরনো দলের মণীশ সিসোদিয়া, সত্যেন্দ্র জৈন, গোপাল রাজ, কৈলাস গেহলত, ইমরান হোসেন ও রাজেন্দ্র গৌতম— মন্ত্রিসভায় থাকছেন। তারাও রোববার দুপুরে কেজরিওয়ালের সঙ্গে শপথগ্রহণ করেন।