আটকের ১৪ ঘণ্টার মাথায় বাংলাদেশি ২২ জেলেকে ফেরত দিয়েছে মিয়ানমার
ধরে নিয়ে যাবার ১৪ ঘণ্টার মাথায় ৪টি ফিশিং ট্রলারসহ বাংলাদেশি ২২ জেলেকে ফেরত দিয়েছে মিয়ানমার নৌবাহিনী। শনিবার (২০ নভেম্বর) রাত ১২টার দিকে কোস্টগার্ডের সহায়তায় তারা সেন্টমার্টিন জেটি ঘাটে ফিরে আসে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী।
এর আগে একইদিন (শনিবার) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় মাছ শিকাররত অবস্থায় সেন্টমার্টিনের কাছাকাছি থেকে মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা দুই দফায় ৪টি ফিশিং ট্রলারসহ ২২ জেলেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে যোগাযোগের ভিত্তিতে নিয়ে যাওয়া জেলেদের ফেরত দিতে বাধ্য হয় মিয়ানমার নৌবাহিনী।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, মাঝিমাল্লাসহ ধরে নিয়ে যাওয়া ফিশিং ট্রলারগুলো ফেরত দেওয়া হয়েছে। জেলেরা সবাই সুস্থ আছেন।
কোস্টগার্ড বাহিনীর প্রচেষ্টায় ট্রলারসহ জেলেদের মিয়ানমার নৌবাহিনী ফেরত দিয়েছে উল্লেখ করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানিয়েছেন, শনিবার রাত ১২টার দিকে সাগরে দায়িত্বরত কোস্টগার্ড সদস্যরা ৪টি ট্রলারসহ জেলেদের নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ঘাটে এসে পৌঁছান।
স্থানীয় জেলেরা জানান, ১৯ নভেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যায় সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা নুরুল আমিন, মো. আজিম, মো. হোসেন এবং তার ছেলে মো. ইউনুছের মালিকাধীন চারটি মাছ ধরার ট্রলারে ২২ জন মাঝিমাল্লা সাগরে মাছ ধরতে যান। শনিবার সকালে দ্বীপের পূর্বদিকে মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা এসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই ট্রলারসহ মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে যান।
নুর আহমদ বলেন, ১৪ ঘণ্টার মাথায় চারটি ট্রলারসহ ২২ মাঝিমাল্লা ফেরত এসেছেন। নিয়ে যাবার পর ২১ জনের কথা বলা হলেও মূলত মাঝিমাল্লা ২২ জন ছিলেন। মিয়ানমার দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে জেলেদের ফেরত এনেছে কোস্টগার্ড। তবে জেলেদের ফেরত দিলেও ট্রলারে ব্যবহার করা গ্যাস সিলিন্ডার, ১০টি মোবাইল সেট রেখে দিয়েছে মিয়ানমার নৌবাহিনী।
ট্রলার মালিক মো. আজিম বলেন, সাগরে মাছ ধরার ট্রলারসহ জেলেদের ধরা নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে অবহিত করার পরে তাদের প্রচেষ্টায় চারটি ট্রলারসহ জেলেদের ফেরত দেয় মিয়ানমার নৌবাহিনী। তারা ফিরে আসাতে সবার মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।