দিবা-রাত্রির টেস্ট জিতে অ্যাশেজে আরও এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে লড়াই-ই করতে পারেনি ইংল্যান্ড। দিবা-রাত্রির দ্বিতীয় টেস্টেও তাদের ভাগ্য বদলালো না। ব্যাটিং-বোলিংয়ে হতাশার পারফরম্যান্সে আরেকটি বড় হার মেনে নিতে হলো জো রুটের দলকে।
অ্যাডিলেডে দিবা-রাত্রির টেস্টে ইংল্যান্ডকে ২৭৫ রানে হারিয়েছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অজিরা। এখন পর্যন্ত দিবা-রাত্রির নয়টি টেস্টের সবগুলোতেই জিতেছে অস্ট্রেলিয়া।
অ্যাডিলেডে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা অস্ট্রেলিয়া ৯ উইকেটে ৪৭৩ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। ম্যাচসেরা মার্নাস ল্যাবুশেন ১০৩, ডেভিড ওয়ার্নার ৯৫, স্টিভ স্মিথ ৯৩, অ্যালেক্স ক্যারি ৫১, মিচেল স্টার্ক ৩৯ ও মাইকেল নেসে ৩৫ রান করেন। জবাবে ২৩৬ রানেই শেষ হয় ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস।
প্রথম ইনিংসেই ২৪০ রানের লিড পাওয়া অস্ট্রেলিয়া ৯ উইকেটে ২৩০ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৬৮ রান। কিন্তু ঝাই রিচার্ডসন, মিচেল স্টার্কদের বোলিং তোপে ১৯২ রানেই অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড।
চতুর্থ দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া। জেতার জন্য শেষ দিন অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ৬ উইকেট আর ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৩৮৬ রান। ৪ উইকেটে ৮২ রান তুলে চতুর্থ দিন শেষ করেছিল ইংল্যান্ড।
৩ রান নিয়ে পঞ্চম দিন ব্যাটিং শুরু করা বেন স্টোকস বেশি দূর যেতে পারেননি। অজি স্পিনার নাথান লায়নের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ১২ রান করেন তিনি। এর আগে ওলি পোপকে বিদায় করে দিনের শুরুতেই ইংলিশদের চাপ বাড়ান মিচেল স্টার্ক।
১০৬ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জশ বাটলার ও ক্রিস ওকস। উইকেট বাঁচাতে পুরো টেস্ট মেজাজে খেলতে থাকেন তারা। এই জুটি ভাঙতে অধিনায়ক স্মিথ বোলিং শুরু করেন, অষ্টম বোলার হিসেবে ট্রাভিস হেডকেও বোলিংয়ে আনেন তিনি। কিন্তু আসল কাজটি করেন ঝাই রিচার্ডসন।
ওকসকে বোল্ড করেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৯৭ বলে ৭টি চারে ৪৪ রান করেন ওকস। এরপর ওলি রবিনসনকে ৮ রানে তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের আরও কাছে যান লায়ন। তখনও অস্ট্রেলিয়ার মাথা ব্যাথার কারণ ছিলেন বাটলার।
১১০তম ওভারে চিন্তা দূর হয় অস্ট্রেলিয়ার। উইকেটের সঙ্গে সন্ধি করে ফেলা বাটলার হিট আউট হন। ২০৭ বলে ২টি চারে ২৬ রান করেন বাটলার। এরপর জিমি এন্ডারসনকে অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত করেন রিচার্ডসন। ডানহাতি এই পেসার ৫টি উইকেট নেন। এ ছাড়া মিচেল স্টার্ক ও নাথান লায়ন ২টি উইকেট নেন। মাইকেল নেসের একটি উইকেট পান।