ঘরেই বসেই বিভিন্ন দেশের টেসলা গাড়িতে হ্যাকিং ও গুপ্তচরবৃত্তি! কে এই তরুণ?
বয়স মাত্র ১৯ বছর; এরই মধ্যে হ্যাকিং কৌশল দিয়ে কব্জা করেছেন দুনিয়াজোড়া খ্যাতিসম্পন্ন টেসলা কোম্পানির ২০টি গাড়ি, তাও কিনা ১০টি ভিন্ন ভিন্ন দেশের! আপাতত এমনটাই দাবি করেছেন জার্মানির তরুণ ডেভিড কলম্বো।
তবে জার্মান তরুণের দাবি, এই দোষ টেসলার মালিক ইলন মাস্কের নয়; বরং গাড়ির মালিকদের। মালিকপক্ষের গাফিলতির কারণেই সফটওয়্যারের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে গাড়িগুলো হ্যাক করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, টেসলার অভ্যন্তরীণ ক্যামেরা কাজে লাগিয়ে গাড়ির ড্রাইভারদের উপরেও নজরদারি করেছেন তিনি!
সম্প্রতি টুইটারে নিজেই এই খবর জানিয়েছেন ডেভিড। তার ভাষ্যে, একটি থার্ড-পার্টি সফটওয়্যারের মাধ্যমে গাড়ির দরজা-জানালা আনলক করতে এবং চাবি ছাড়াই গাড়ি চালু দিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। তাছাড়া গাড়ির সিকিউরিটি সিস্টেমও অকেজো করে দিয়েছেন তিনি।
দ্য ডেইলি মেইলকে ডেভিড বলেন, 'এটা আসলে টেসলার অবকাঠামোগত অদক্ষতা নয়, বরং টেসলা গাড়িগুলোর মালিকেরা এবং একটি থার্ড পার্টিই এর জন্য দায়ী। টেসলার প্রোডাক্ট সিকিউরিটি টিমের সাথে আমার আলাপ চলছে। একই সাথে থার্ড পার্টির কাজটি যারা দেখাশোনা করছে এবং গাড়ির মালিকদের সাথেও কথা হয়েছে। তারা এ ব্যাপারে কাজ করবে।"
সফটওয়্যারে গাড়ির মালিকের তথ্য সংরক্ষণের সাথেই টেসলা গাড়ির প্রোগ্রাম যুক্ত। তাই সফটওয়্যারের ত্রুটির কারণে দূর থেকে গাড়িগুলো হ্যাক করতে পেরেছেন ডেভিড। তবে তিনি জানিয়েছেন, গাড়িগুলো কেউ চালানো অবস্থায় থাকলে হ্যাক করা সম্ভব হয়নি।
সফটওয়্যার সম্পর্কে ডেভিড খুব বেশি তথ্য না দিলেও, টুইটার ব্যবহারকারীরা নিজেদের মতো করে এ নিয়ে ভেবে চলেছেন।
কেউ কেউ আবার ডেভিডের দাবিকে উপেক্ষা করে বলছেন, হ্যাকিংয়ের ইস্যুটি আসলে ততটা গুরুতর নয়।
এর জবাবে ডেভিড বলেন, যদি গুরুতর ইস্যু না হতো তাহলে টেসলা এবং সেই থার্ড পার্টি কোম্পানি এটি নিয়ে তদন্ত করতো না।
সূত্র: ডেইলি মেইল