মদের আসরে বিশৃঙ্খলা: ইসিবির তদন্তের মুখে রুট-অ্যান্ডারসনরা
সম্প্রতি প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, হোবার্টে টিম হোটেলে অ্যাশেজ-পরবর্তী পার্টিতে মদ্যপানে মেতে থাকা কয়েকজন ইংলিশ ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারকে ঘুমাতে যেতে বলছেন পুলিশরা। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
ভিডিওটি করেছিলেন ইংল্যান্ডের সহকারী কোচ গ্রাহাম থর্প, যা সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের কাছে চলে যায়। সেই ভিডিওতে দেখা যায় জো রুট, জেমস অ্যান্ডারসন ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার ট্র্যাভিস হেড, নাথান লায়ন ও অ্যালেক্স ক্যারির সঙ্গে কথা বলছেন কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা। ঘড়িতে তখন ভোর ছয়টা। তখনো মদ্যপানের জন্য একটি টেবিল ঘিরে বসে ছিলেন তারা।
এ দলটি তখন ছিল ক্রাউন প্লাজার চার তলার ছাদে। পুলিশ কর্মকর্তারা এসে তাদেরকে নিজ নিজ রুমে চলে যেতে বলেন। তারাও সাথে সাথেই পুলিশের আদেশ মান্য করেন।
ফুটেজে শোনা যায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, "আপনারা খুব শব্দ করছেন। অবশ্যই আপনাদেরকে চলে যেতে বলা হয়েছিল। এজন্যই আমাদেরকেও আসতে বলা হয়েছে। ঘুমের সময় হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাদের। তারা (হোটেল কর্তৃপক্ষ) চায় আপনারা এখন চলে যান।"
এদিকে পুলিশ এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের জায়গায় কয়েকজন নেশাগ্রস্ত ব্যক্তির উপস্থিতির অভিযোগ পেয়ে সোমবার সকালে তাসমানিয়া পুলিশ ক্রাউন প্লাজা হোবার্টে যায়। ঠিক সকাল ছয়টার পরপরই পুলিশ অতিথিদের সঙ্গে কথা বলে, এবং ওই অতিথিরাও তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে পুলিশের পক্ষ থেকে আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।"
কিন্তু পুলিশ ভবিষ্যতে এ ঘটনা নিয়ে আর না এগোলেও, ছাড় দিতে নারাজ ইসিবি। তারা জানিয়েছে, এই গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে। বিশেষত মনোযোগ দেওয়া হবে এ ব্যাপারটিতে যে ভিডিওটি কীভাবে পাবলিক ডোমেইনে চলে গেল।
এক বিবৃতিতে ইসিবি জানায়, "সোমবার সকালের শুরুর দিকে হোবার্টে হোটেলের টিম এরিয়ায় ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া পুরুষ দলের খেলোয়াড়রা পানীয় শেয়ার করছিলেন। হোটেল ম্যানেজমেন্ট আরেকজন অতিথির তরফ থেকে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ পায়। এবং যেমনটি অস্ট্রেলিয়ায় সচরাচর হয়ে থাকে, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে চলে যায়।
"যখন হোটেল ম্যানেজমেন্ট ও তাসমানিয়ান পুলিশ তাদেরকে চলে যেতে বলে, সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড় ও ম্যানেজমেন্ট ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন এবং নিজ নিজ হোটেল রুমে ফিরে আসেন। যদি কারো কোনো সমস্যা হয়ে থাকে, সেজন্য ইংল্যান্ড দল ক্ষমা চেয়েছে। ইসিবি এ ব্যাপারে আরো তদন্ত করবে। তার আগ পর্যন্ত আর কোনো মন্তব্য করা হবে না।"
যদিও এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ পেলেনি যে খেলোয়াড়রা আসলেই কোনো দোষ করেছেন, তারপরও এই ঘটনা ইসিবির জন্য এক বাড়তি বিড়ম্বনা হয়ে দেখা দিয়েছে। সদ্যই তারা একটি ভুলে যাওয়ার মতো অ্যাশেজ সফর শেষ করেছে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ হেরেছে ৪-০ ব্যবধানে। তাছাড়া মাত্র কিছুদিন আগেই স্কোয়াডের ভেতর মদ্যপানের সংস্কৃতি নিয়েও নানা কথা উঠেছিল।
- সূত্র: ক্রিকবাজ