শিরোপা জিততে সাকিবদের সামনে মাঝারি লক্ষ্য
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের মতো ফাইনালেও তেড়েফুঁড়ে শুরু করলেন সুনীল নারাইন। ফরচুন বরিশালের বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ক্যারিবীয় এই অলরাউন্ডার। এদিনও তার ঝড়ে দারুণ পাওয়ার প্লে পেল কুমিল্লা। কিন্তু নারাইন আউট হতেই দলটির স্কোরকার্ডের চেহারা নাজুক। শেষ দিকে মঈন আলী ও আবু হায়দার রনির ব্যাটে লড়াইয়ের পূঁজি পেল কুমিল্লা।
শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে বিপিএলের ফাইনালে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৯ উইকেটে রান তুলেছে কুমিল্লা। নারাইনের ব্যাটে দাপুটে শুরুর পর মাঝে দিক হারানোয় বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি বিপিএলের দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। প্রথম ৬ ওভারে ৭৩ রান তোলা কুমিল্লা শেষ ১৪ ওভারে করে ৭৮ রান। প্রথমবারের মতো বিপিএল জিততে ফরচুন বরিশালের দরকার ১৫২ রান।
আগের ম্যাচে লিটন কুমার দাস শুরুতেই থামেন। অধিনায়ক ইমরুল কায়েসকে অন্য প্রান্তে রেখে তাণ্ডব চালান নারাইন। তুলে নেন ১৩ বলে বিপিএলের ইতিহাসের দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি। এই ম্যাচে লিটন কিছুটা সময় উইকেটে ছিলেন। তবে তাকে কিছুই করতে হয়নি। ব্যাট হাতে সাইক্লোন গতিতে রান বন্যা বইয়ে দেন নারাইন।
তার ব্যাটে ২.৫ ওভারেই ৪০ রান পেয়ে যায় কুমিল্লা। এমন সময় ৬ বলে ৪ রান করা লিটন বিদায় নেন। নতুন ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ঝড় চালিয়ে যেতে থাকেন নারাইন। যা চলে ৫.২ ওভার পর্যন্ত, ততক্ষণে ৬৯ রানে পৌঁছে যায় কুমিল্লা। দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেওয়া নারাইন ২১ বলে ৫টি চারও ৪টি ছক্কায় হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষ পর্যন্ত ২৩ বলে ৫টি করে চারও ও ছক্কায় ৫৭ রান করে আউট হন তিনি।
নারাইনের বিদায়ে পর এলোমেলো হয়ে পড়ে কুমিল্লার ইনিংস। দ্রুত ফিরে যান মাহমুদুল হাসান জয় ও ফাফ ডু প্লেসি। অধিনায়ক ইমরুলও দলকে টানতে পারেননি, ১২ বলে ১২ রান করেন ফিরে যান তিনি। এরপর মঈন আলী ও আবু হায়দার রনিই যা রান করেছেন। দলটির শেষ চার ব্যাটসম্যানের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেনি।
সপ্তম উইকেটে ৫২ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন মঈন-রনি। ৩২ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৮ রান করেন মঈন। ২৭ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৯ রান করেন রনি। কুমিল্লার মাত্র চারজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করেন। বরিশালের মুজিব-উর-রহমান ও শফিকুল ইসলাম ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান সাকিব আল হাসান, ডোয়াইন ব্রাভো ও মেহেদি হাসান রানা।