রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতাকে ‘গণহত্যা’ ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর চালানো সহিংসতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়ামে এই ঘোষণা দিয়েছেন।
"সাতবার গণহত্যা হয়েছে- এই উপসংহারে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে অষ্টম বার। বার্মিজ সামরিক বাহিনীর সদস্যরা গণহত্যা এবং মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে," বলেন ব্লিঙ্কেন।
রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর নির্মূল অভিযানের পাঁচ বছর পর এই স্বীকৃতি দিল যুক্তরাষ্ট্র। হাজার হাজার মানুষ মারা যায়, প্রায় ৮ লাখ মানুষ পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
ব্লিঙ্কেন তার বক্তব্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানকে হলোকাস্ট, রুয়ান্ডা-তুতসীসহ অন্যান্য গণহত্যার সঙ্গে তুলনা দেন।
কোনো ঘটনাকে গণহত্যা ঘোষণার পর, যুক্তরাষ্ট্রের আইনানুযায়ী তা নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হয় না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের এই স্বীকৃতির ফলে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়বে।
যুক্তরাষ্ট্রের এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন রিফিউজিস ইন্টারন্যাশনাল।
২০১৭ সালের আগস্ট থেকে সাত লাখের বেশি মানুষ পালিয়ে বাংলাদেশে আসে, এরমধ্যে বেশিভাগই সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর। বাংলাদেশে তারা বাস করছে জনাকীর্ণ শরণার্থী শিবিরে। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে হত্যা, গণধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনেছে শরণার্থীরা। বরাবরই সব অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে দেশটির সামরিক বাহিনী।