বিদ্যুতের অভাবে পাকিস্তানে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং, শ্রীলঙ্কায় নিভল সড়কবাতি
বিদ্যুৎ সংকটে পাকিস্তানের অধিকাংশ গ্রাম ও শহরাঞ্চলে দৈনিক তিন থেকে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং চলছে। জ্বালানি সংকটের পাশাপাশি গ্রীষ্মকালে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহে হিমশিম খাচ্ছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ডিসকো'স (পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিজ)।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানায়, গত সপ্তাহ থেকে বিদ্যুৎ সংকট তীব্র হওয়ার পাকিস্তানে বিদ্যুতের ঘাটতি ৫ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা দ্য নিউজকে বলেন, ঘাটতি অনেক বেশি। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ফার্নেস অয়েল, এলএনজি ও কয়লার মতো জ্বালানি পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই।
আরেকটি লক্ষণীয় বিষয় হলো, পাকিস্তানের সমতল ভূমিতে সময়ের আগেই গ্রীষ্ম শুরু হয়ে গেছে। অন্যদিকে দেশের উত্তরাঞ্চলে বরফ এখনও গলতে শুরু করেনি। ফলে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বাঁধগুলোতে পর্যাপ্ত পানি জমা হয়নি৷ এছাড়া কয়লা ও এলএনজি প্ল্যান্টগুলোর সক্ষমতাও বেশ কমে গেছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল ইলেকট্রিক পাওয়ার রেগুলেটরি অথরিটি (নেপ্রা)-র চেয়ারম্যান তৌসিফ এইচ ফারুকী এক ভাষণে জানান, দেশটিতে বর্তমানে প্রায় ৫ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে।
এদিকে চরম অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কাতেও দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ ঘাটতি। জ্বালানি সংকটে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) থেকে প্রতিদিন ১৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখার কথা জানায় দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ সংস্থা।
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানায়, বিদ্যুতের অভাবে দেশের সড়কবাতি নিভিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎমন্ত্রী পবিত্র ওয়ানিয়ারাচ্চি।
গতকালও টানা ১৩ ঘণ্টা শ্রীলঙ্কাজুড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
সূত্র: দ্য নিউজ ও এএফপি