অনাস্থা ভোট মানবেন না ইমরান, গৃহযুদ্ধ বাধাতে চান তিনি: শেহবাজ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোট শুরু হয়েছে আজ। তবে ভোটের ফলাফল মেনে নেবেন না এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। তার অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রে তাকে অপসারণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
"পুরো প্রক্রিয়াই যেখানে সমসাজনক, ভোটের ফলাফল কীভাবে মেনে নেব আমি? আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করার এই চেষ্টা দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ," নিজের কার্যালয়ে বিদেশি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এ নিয়ে বিরোধী জাতীয় পরিষদের নেতা এবং পাকিস্তান মুসলিম লিগের (পিএমএল-এন) সভাপতি শেহবাজ শরীফ বলছেন, দেশকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছেন ইমরান খান। দেশকে 'গৃহযুদ্ধের' দিকে ঠেলে দিচ্ছেন ইমরান, এমন মন্তব্যও করেছেন শেহবাজ।
সংবিধানিক প্রক্রিয়ায় অনাস্থা ভোটকে ইমরান খানের 'যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র' হিসেবে অভিহিত করা বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও এর সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে অনেক সখ্য ছিল তার। 'এখন হঠাৎ করে অনাস্থা ভোটকে যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র হিসেবে প্রচার করছেন তিনি,' বলেন তিনি।
পাকিস্তান ভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খবর পাওয়া যাচ্ছে সহিংসতার মাধ্যমে পার্লামেন্টে বিরোধী দলীয় নেতাদের প্রবেশে বাধা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ইমরান খানের সরকার ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। পার্লামেন্টের ভেতরেও তাদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার পরিকল্পনার খবর পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। সূত্রের বরাতে জানানো হয়েছে, পার্লামেন্টের ভেতরে ও বাইরে সহিংসতা হতে পারে। ভেতরে সহিংসতার মাধ্যমে ভোট গণনা বন্ধের গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে।
জিও নিউজ ক্যাপিটাল টকের হোস্ট হামিদ মীর নয়া পাকিস্তান প্রোগ্রামের হোস্টকে শনিবার বলছিলেন, ইমরান খানের বিরুদ্ধে ভোট দিতে আসা বিরোধী দলীয় যে কোনো এমপি-কে রুখে দিতে পার্লামেন্টের সামনে সমর্থকদের জড়ো হওয়ার ডাক দিয়েছে পিটিআই। বিরোধী দলীয় এমপি'রা যাতে ভোট দিতে পার্লামেন্টে প্রবেশ করতে না পারেন সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তাদের।
তবে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের এক মুখপাত্র এ সব অস্বীকার করে এসব 'প্রোপাগান্ডা' ছড়ানোর নিন্দা জানিয়েছেন।
এদিকে, দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে ওঠা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটিকে কেন্দ্র করে যেনো সংসদ অধিবেশনের আগে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।