প্রোটিয়া ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে ‘অ্যাবিউস’ করার অভিযোগ মুমিনুলের
ডারবান টেস্টে আম্পায়ারের বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে গেছে। 'ক্লোজ কল'-এর বেশিরভাগই গেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। চতুর্থ দিন শেষে এ নিয়ে ক্ষোভের কথা জানান বিসিবি পরিচালক ও দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। একই দিনে নিরপেক্ষ আম্পায়ার ফেরানোর কথা জানিয়ে টুইট করেন সাকিব আল হাসান।
পঞ্চম দিনে আম্পারিং নিয়ে বিতর্ক হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই স্পিনার কেশব মহারাজ ও সাইমন হার্মার মিলে নিমেষেই বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে দেন। ৫৩ রানে অলআউট হয়ে বাংলাদেশ হারে ২২০ রানের বড় ব্যবধানে। বাজে আম্পায়ারিংয়ের কারণে বাংলাদেশের লক্ষ্য বড় হয়েছে বলে জানান খালেদ মাহমুদ। ম্যাচ হারের পর মুমিনুলের কথায় মনে হয়েছে, হারের পেছনে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের বাজে ব্যবহারও দায়ী।
অস্বস্তির হারের পর সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে `অ্যাবিউস' (গালাগালি) করার অভিযোগ এনেছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। ক্রিকেট মাঠে স্লেজিং খুব স্বাভাবিক, এটা জানা আছে মুমিনুলের।
স্লেজিং গালিগালাজের পর্যায়ে চলে গেলে সেটাকে খুব খারাপ জানিয়ে মুমিনুল বলেন, 'স্লেজিং তো মাঠে হয়ই। স্লেজিং হবে এটা স্বাভাবিক। স্লেজিং যদি মাঝে মাঝে অ্যাবিউসের কাছে চলে যায়, তখন এটা খুব খারাপ। আমার কাছে মনে হয় মাঝে মধ্যে তারা অ্যাবিউস করছিল, খুব বাজে ভাবে। যেটা আম্পায়ারও ওভাবে ওদের খেয়াল করেনি।'
কোন মাত্রায় 'অ্যাবিউস' এর শিকার হতে হয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে মুমিনুল বলেন, 'এগুলো শেয়ার করা যাবে না। এগুলো আম্পায়াররা হয়তো ওভাবে খেয়াল করেনি। এসব নিয়ে এখনও কোনো কিছু ওভাবে জানানো হয়নি।'
করোনা পরিস্থিতির কারণে ভ্রমণে বিধিনিষেধ থাকায় স্থানীয়দের দিয়ে ম্যাচ পরিচালনার নিয়ম চালু করে আইসিসি। সব দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় নিরপেক্ষ আম্পায়ারের দাবি জানান মুমিনুল। টেস্ট অধিনায়কের ভাষায়, 'আম্পায়ারিংয়ের যে ইস্যুটা বললেন সেটা আমাদের হাতে নেই। কিন্তু আমার কাছে একটা জিনিস গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়, আইসিসির এসব নিয়ে চিন্তাভাবনা করা উচিত। নিরপেক্ষ আম্পায়ারিং আবার নিয়ে আসা উচিৎ। কোভিডের আগে যে অবস্থা ছিল, কোভিডের কারণে হতো না, এখন তো কোভিড মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে।'
'আমার মনে হয় আইসিসিসির এই জিনিষগুলো দেখা উচিত। নিরেপক্ষ আম্পায়ারিং দিয়ে দেওয়া উচিত। এই সিরিজে নয়, অনেক সময় অনেক সিরিজেও এ রকম হয়েছে। আম্পায়াররা ওই দেশের, ওই দলের পক্ষে সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে। যেগুলো আমরা এই সিরিজেও দেখছি, আগের সিরিজেও দেখেছি।' যোগ করেন তিনি।