'বিদেশি ষড়যন্ত্রের' বিরুদ্ধে 'মুক্তির আন্দোলন' শুরু ইমরান খানের!
শনিবার মধ্যরাতে ইসলামাবাদের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনুষ্ঠিত অনাস্থা ভোটে পরাজিত হন ইমরান খান। তবে, পরাজিত হলেও হাল ছাড়তে নারাজ তিনি।
পরাজয়ের পর রোববার (১০ এপ্রিল) পাকিস্তানের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টুইট করে আবারও 'স্বাধীনতা সংগ্রাম' শুরুর বার্তা দিলেন। এমনকি টুইটে তিনি 'বিদেশি ষড়যন্ত্রের' কথাও উল্লেখ করেন।
এদিকে, ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই)-এর সব সদস্য ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
বাংলাদেশ সময় বিকেল প্রায় ৫টার দিকে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ইমরান খান লিখেন, '১৯৪৭-এ স্বাধীন হয় পাকিস্তান। কিন্তু, বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের ক্ষমতা দখলের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রাম আজ থেকে আবারও শুরু হলো। দেশের মানুষই দেশের সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্রকে রক্ষা করে।'
রোববার ইসলামাবাদের বানি গালায় পিটিআই-এর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইমরান। সেখানে সামনের আন্দোলন নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
এরপরই দেশটির সদ্য প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরী ঘোষণা করেন, যদি পাকিস্তান মুসলিম লিগের সভাপতি শাহবাজ শরিফের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিরুদ্ধে তাদের আপত্তি থাকার বিষয়টি বিবেচনা না করা হয়, তাহলে সোমবারই পিটিআই সদস্যরা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি থেকে ইস্তফা দেবেন।
উল্লেখ্য, বিরোধীদের সম্মিলিত প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তানে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। অন্যদিকে পিটিআই-এর পক্ষ থেকে প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশিকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হয়েছে।
সোমবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়া হবে।
ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রতিবাদে তার রাজনৈতিক দল পিটিআই রোববার (১০ এপ্রিল) পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
করাচি, পেশোয়ার, মালাকান্দ, মুলতান, খানওয়াল, খাইবার, ঝাং, কোয়েটা, ওকারা, ইসলামাবাদ, লাহোর এবং অ্যাবোটাবাদ শহরে বড় ধরনের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে দ্য ডন।
এছাড়া বাজাউর, লোয়ার দির, শাংলা, কোহিস্তান, মানসেহরা, সোয়াত, গুজরাট, ফয়সালাবাদ, নওশেরা, ডেরা গাজি খান এবং মান্ডি বাহাউদ্দিনেও বিক্ষোভ হয়েছে বলে জানা গেছে।
- সূত্র: আল-জাজিরা