নিউমার্কেটে ব্যবসায়ী-শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ: তিন মামলায় আসামি ১০০০
নিউমার্কেটে ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও অর্ধশত আহতের ঘটনায় ১০০০ জনকে আসামি করে মোট তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশ সদস্যদের আহত করার অভিযোগে মামলা করেছেন পুলিশের পরিদর্শক ইয়ামিন কবীর।
এতে ঢাকা কলেজের অজ্ঞাতপরিচয় ৬০০ শিক্ষার্থী এবং নিউমার্কেট এলাকার অজ্ঞাতনামা ৩০০ ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশের করা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের আরেকটি মামলায় অজ্ঞাত আসামির উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশের দুই মামলায় মোট এক হাজারের বেশি মানুষকে অভিযুক্ত।
এছাড়া সংঘর্ষের সময় নিহত নাহিদ হাসানের পরিবার অজ্ঞাতনামা ১০০-১৫০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।
সোমবার মধ্যরাতে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের কারণ হিসেবে বিভিন্ন পক্ষ বিভিন্ন দাবি করতে থাকে।
ঢাকা কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী দাবি করেন, সোমবার রাতে তাদের এক সহপাঠী নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের দ্বারা হামলার শিকার হন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসের শতাধিক শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে ছুটে এসে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মার্কেটে হামলা চালায়।
এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলতে থাকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। হামলায় বেশ কয়েকটি দোকান ভাংচুর করা হয়।
অন্যদিকে, শিক্ষার্থীদের দাবির বিপরীতে দোকান মালিকরা জানান, ঢাকা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী নিউমার্কেটের একটি ফাস্টফুডের দোকানে খেতে আসেন। তারা বিল না দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করায় তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা দোকানে হামলা ও ভাংচুর শুরু করে।
মঙ্গলবার সকালে নিউমার্কেটের নীলক্ষেত মোড়ে ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ হয়। দিনভর সংঘর্ষে দুইজন নিহত এবং সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীসহ অর্ধশতের বেশি আহত হন। নিহতরা হলেন, নাহিদ হাসান (১৮) এবং মো. মুরসালিন (২৪)।