চালের মিল, গুদামে অভিযান চালাবে ভোক্তা অধিদপ্তর
অবৈধভাবে চাল মজুদ করা বন্ধ করতে দেশের মিল ও গুদামগুলোতে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এর আগে চালের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখতে খুচরা ও পাইকারি বাজারে অভিযান চালানো হয়।
সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অধিদপ্তরে আয়োজিত 'চালের মজুদ, সরবরাহ, এবং মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে মিল মালিক, ব্যবসায়ী ও ভোক্তা পর্যায়ে আলোচনা সভায়' এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
সভায় চালের মিল মালিক, সিটি, প্রাণ, আকিজ, মেঘনা, বাংলাদেশ এডিবল ওয়েলসহ বিভিন্ন কর্পোরেট হাউজের প্রতিনিধি, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রে যেভাবে কৃত্রিম সংকট সৃষ্ঠি করা হয়েছে ঠিক সেইভাবে কোনো একটি গোষ্ঠী আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাজারে। উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে, তাই চালেরদাম বাড়বে এমন তথ্য বাজারে ছড়িয়ে দিয়ে চালের দাম বাড়ানো হয়। যারা এভাবে বাজারকেও অস্থির করার চেষ্টা করছে, তাদের শনাক্ত করা দরকার।
"সরকার এ বছর মোট ১১ লাখ টন চাল কিনবে। মিল মালিকদের কাছে কী পরিমাণ চাল মজুদ আছে, আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে মিল মালিকদের এ তথ্য ভোক্তা অধিদপ্তরকে জানাতে হবে।"
"এরপর আগামী সপ্তাহে চালের মিলে অভিযান করা হবে", বলেন তিনি।
সভায় প্যাকেটজাত চালের দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান।
"প্যাকেটজাত করার পর চালের দাম দ্বিগুণের কাছাকাছি কীভাবে হয় সেটা খতিয়ে দেখা হবে। কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর প্যাকেটজাত চালের শেয়ার কত অংশ রয়েছে, তাও তদন্ত করা হবে।"
সিটি গ্রুপের উপদেষ্টা অমিতাব চত্রক্রবর্তী বলেন, করপোরেট বড়জোর ৮ থেকে ৯ শতাংশ চাল সংগ্রহ করে বিক্রি করে।
"এই সল্প পরিমাণ সংগ্রহের কারণে বাজারে এত বড় প্রভাব পড়ার কথা নয়", বলেন তিনি।