রোনালদোর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা খারিজ করলো আমেরিকার আদালত
বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন ক্যাথরিন মায়োর্গা নামক এক নারী। তার অভিযোগ ছিল, ২০০৯ সালে লস ভেগাসের একটি হোটেলে তাকে ধর্ষণ করেন পর্তুগীজ তারকা। তবে শনিবার (১১ জুন) সেই মহিলার অভিযোগ সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছে আমেরিকার আদালত।
তবে রোনালদো শুরু থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং তার বিরুদ্ধে কখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া ২০১০ সালে এও খবর এসেছিল যে, আদালতের বাইরে বিষয়টি নিয়ে সমঝোতায় আসেন মায়োর্গা। সেসময় তাকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলার দেয়া হলেও এরপর আরও অনেক টাকা দাবি করেন তিনি। মায়োর্গার ভাষ্যে, ঘটনার পরপরই তিনি সমঝোতা করতে একমত হন, যদিও সেসময় তার মানসিক পরিস্থিতি এই সমঝোতায় যোগ দেওয়ার উপযুক্ত ছিল না। তখন এই প্রস্তাব মেনে নেওয়ার জন্য চাপ অনুভব করেছিলেন বলেও জানান তিনি।
তবে শেষ পর্যন্ত আদালতে মায়োর্গার অভিযোগ টিকল না। মূলত তার অভিযোগের স্বপক্ষে পেশ করা তথ্য়ই তার বিরুদ্ধে গেল।
লস ভেগাসে এই মামলার দায়িত্বে থাকা বিচারক জানান, মায়োগার অভিযোগের স্বপক্ষে একাধিক গোপনীয় তথ্য, তার উকিল লেসলি মার্ক স্টোভাল সর্বসমক্ষে ফাঁস করে নিজের ঘুটি সাজানোর চেষ্টা করেছে৩ন। ফলে এই মামলা আরও বেশি করে তাদের বিরুদ্ধে গিয়েছে। গোপনীয়তা বজায় রাখার কথা থাকলেও তথ্য ফাঁস করাটা অন্যায্য বলেই দাবি করেন তিনি। উপরন্তু তাদের এই মামলায় রোনালদোর ইমেজ নষ্ট হয়েছে বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন বিচারক।
বিশ্বাসভঙ্গের জেরে মায়োর্গার উকিলের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তি নেওয়ারও বিধান দেন বিচারক। প্রসঙ্গত, মায়োর্গা এবং তার উকিল এই রায়ের বিরুদ্ধে সান ফ্রান্সিসকোর নবম আমেরিকা সার্কিট কোর্টে আপিল করতে পারবেন।
সূত্র: বিবিসি