কুসিক নির্বাচন নিয়ে ইসির অসহায়ত্ব প্রকাশ ভাল লক্ষণ নয়: সুজন
যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচন কমিশনের অসহায়ত্ব প্রকাশ ভাল লক্ষণ নয় বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের সাম্প্রতিক এক ঘটনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের প্রসঙ্গে সুজন সম্পাদক বলেন, 'কমিশনকে অবশ্যই তার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে।'
আগামী ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারিত হয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে গঠিতে নির্বাচন কমিশনের অধীনে এটিই প্রথম নির্বাচন। কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে ২০২৩ সালের শেষদিকে জাতীয় নির্বাচনও অনুষ্ঠান করবে ইসি। বাংলাদেশের পূর্ববর্তী দুটি জাতীয় নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির ব্যাপক অভিযোগও রয়েছে। রয়েছে বিরোধীদের বয়কটের নজির।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০২৩ সালে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসির প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো রাজনৈতিক দলগুলির আস্থা অর্জন। এজন্য কুসিক নির্বাচনকে ইসির 'লিটমাস টেস্ট'-ও বলছেন তারা।
সম্প্রতি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘণ করায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিনকে কুমিল্লা ত্যাগের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। তবে কুমিল্লা-৬ আসনের এ আইনপ্রণেতা তা অমান্য করে তার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে থাকেন।
এ বিষয়ে সিইসি সম্প্রতি বলেছেন, তিনি এলাকা ত্যাগ না করলে করণীয় কিছু নেই।
এনিয়ে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এক্ষেত্রে কমিশন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে। সরকারি সুবিধাভোগী কেউ কারও পক্ষে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে কাজ করছেন— এমন প্রতীয়মান হলে ইসি প্রার্থিতা বাতিল করতে পারে।
নাগরিক সমাজের এ বিশিষ্টজন বলেন, 'কমিশন যখন তাদের আইন-কানুন-বিধি প্রয়োগ করতে পারছে না, তখন নাগরিকেরা খুব আশাবাদীও হতে পারে না।'
জনগণের প্রতি ইসির দায়বদ্ধতার কথা উল্লেখ করে বদিউল আলম বলেন, মানুষ আশা করে ইসি নির্বাচনে সাহসিকতা দেখাবে। বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে। কুমিল্লার নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতার ইঙ্গিত দিবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।